ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। অনেক জায়গায় ভারী বর্ষণও হয়েছে। বিক্ষিপ্ত দমকা ও হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। জ্যৈষ্ঠের তৃতীয় সপ্তাহে এসে মেঘ, বৃষ্টিপাতের আবহে কমেছে তাপদাহের দাপট। মানুষ স্বস্তি পাচ্ছে ভ্যাপসা গরমের যাতনা থেকে।
আজ মঙ্গলবার দেশের সবক›টি বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড নেত্রকোনায় ৯৭ মি.মি.। এ সময়ে ঢাকায় ৪৩, মাদারীপুরে ২৪, চট্টগ্রামে ২, সীতাকুণ্ডে ৪২, ফেনীতে ২৫, সিলেটে ৬৬, বগুড়ায় ২৯, রংপুরে ৩৩, রাজারহাটে ৬৮, খুলনায় ১১, সাতক্ষীরায় ৪৬, বরিশালে ৬৬ মিলিমিটারসহ অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটিতে ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার পারদ সর্বোচ্চ ৩৫.৪ এবং সর্বনিম্ন ২৫.৭ ডিগ্রি সে.।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, এ সপ্তাহের শেষে বঙ্গোপসাগর হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু অর্থাৎ বর্ষারোহী বায়ুমালা কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন শুরু হবে আবহাওয়ার পালাবদল। তবে মৌসুমী বায়ু সারাদেশে বিস্তার লাভ করতে জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় যেতে পারে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা যায়, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়া কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন বাংলাদেশের এলাকায় অবস্থান করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন