রাজধানীর বিজয় সরণি থেকে ছিনতাই হয়েছে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের মোবাইল ফোন। গত রোববার (৩০ মে) সন্ধ্যায় যানজটে আটকে থাকা অবস্থায় এই ছিনতাইয়ের কবলে পরেন তিনি। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
২ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলো এখনও উদ্ধার করা যায় নি মোবাইলটি। তবে পুলিশে পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধী শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
এই ঘটনায় আহমেদ-উজ-জামান ফেইসবুকে লিখেন, ‘বিষয়টি আসলে খুবই দুঃখজনক। তবে একবার ভাবেন তো, একজন মন্ত্রীকে যদি এই রকম খারাপ অবস্থায় পরতে হয়, তাহলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কি অবস্থার মধ্যে থাকতে হচ্ছে! আশা করি পরিকল্পনামন্ত্রী এই বিষয় নিয়ে একটি সঠিক পরিকল্পনার প্রণয়নের মাধ্যমে এর সমাধান কল্পে নিজেসহ সাধারণ জনগণকে এই রকম খারাপ অবস্থা থেকে উদ্ধার করবেন।’
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মিয়া নোমান লিখেন, ‘এই তাহলে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি! ভিভিআইপিদের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ জনগণের অবস্থা বলাই বাহুল্য।’
অপরাধীর শাস্তির দাবি জানিয়ে এমডি আবুল হোসাইন লিখেন, ‘পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয়ের মোবাইল চুরি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং একই সাথে যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার এবং বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
মেহেদি হাসান লিখেন, ‘হরহামেশাই ঘটছে এমন ঘটনা! মন্ত্রী বলে উনি হয়তো মোবাইলটা ফেরত পাবেন, কিন্তু সাধারণ জনগণের এসব ভোগান্তির শেষ নাই।’
আইন করে ছিনতাই প্রতিহত করার দাবি জানিয়ে রিয়াদ হোসেন শেখ লিখেন, ‘এমন বিব্রত অবস্থায় অনেকেই পড়ছে! সময় এসেছে আইন করে মোবাইল ছিনতাইসহ এ জাতীয় সকল অপরাধ বন্ধে কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করার।’
জনগণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ভাবার আহ্বান জানিয়ে মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান লিখেন, ‘হায়রে দেশের অবস্থা! রাজধানী ঢাকা শহরসহ দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করলে বোঝা যায়! মন্ত্রী হয়েও ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে মোবাইল খুইয়েছেন! সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে একটু ভাবুন।’
এমডি আরমান লিখেন, ‘বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা কতটা অবনতি হলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে....’
মন্ত্রীর প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সিরাজ খোকন চৌধুরী লিখেন, ‘এই একটি ঘটনাই অনেক কিছু প্রমাণ করে..ঢাকা কতোটা নিরাপদ! ঢাকা কতোটা বসবাসের যোগ্য! মন্ত্রী মহোদয়ের জন্য সমবেদনা রইলো।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন