স্টাফ রিপোর্টার : গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় রাজীব গান্ধী ওরফে প্রভাষ নামে আরো একজন জড়িত। আর এজন্য ভারত হয়ে এসেছিল গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র। তবে কোন দেশ থেকে এ অস্ত্রগুলো এসেছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিদেশ থেকে এসেছিল প্রচুর অর্থ। এমনটি জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের চালান এসেছিল দেশের বাইরে থেকে। অস্ত্রের যোগানদাতারা রুট হিসেবে ব্যবহার করেছিল সীমান্ত। ভারত হয়ে বাংলাদেশে অস্ত্রগুলো প্রবেশ করেছিল। তবে অস্ত্রগুলো ঠিক কোন দেশের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, দুই হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী রাজীব। আমাদের ধারণা, এই রাজীবসহ গুলশান হামলার অপারেশনাল কমান্ডার নুরুল ইসলাম মারজান ও আরেক জঙ্গি বাশারুজ্জামান দেশের মধ্যেই আত্মগোপন করে আছেন। হামলার পর খালিদ ও রিপন নামে দুই জঙ্গি ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি পুলিশের যে অভিযান হয়েছে, তাতে জঙ্গিদের ৬০ শতাংশ শক্তি ক্ষয় হয়েছে। মারজান, বাশারুজ্জামান ও রাজীব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের ভয়ে আত্মগোপন করেছেন। যেকোনো সময় তারা আবার সংঘবদ্ধ হতে পারেন বলে আমাদের ধারণা।
মনিরুল ইসলাম জানান, এসব হামলার জন্য অর্থ ও অস্ত্র এসেছে বিদেশ থেকে। হুন্ডিতে এসেছে অর্থ। এ দুই হামলার আগে হুন্ডির মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা গ্রহণ করে জঙ্গিরা। এসব অর্থ ও অস্ত্র কারা প্রেরণ ও গ্রহণ করেছে, সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হামলার সময় অস্ত্রগুলো কীভাবে নেওয়া হয় এবং এর পেছনে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে তার যোগান কারা দিয়েছে তদন্তে সে বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। এরপরই জানা যায়, অস্ত্রগুলো ভারতের বিহার হয়ে এসেছে। আর অর্থও এসেছে বিপুল পরিমাণে। নামে-বেনামে এই অর্থ এসেছে। কয়েকটি দেশ থেকে অর্থ এসেছে। এরা কারা তাদেরও তদন্তের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে আরও তদন্ত চলছে। আরও নিশ্চিত হয়ে এদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই রাতে গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি বেশ ক’জন নাগরিককে জিম্মি করে জঙ্গিরা। পরদিন সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে জিম্মিদশার অবসান ঘটে। অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। তবে তার আগেই তারা দেশি-বিদেশি ২০ জনকে হত্যা করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন