‘ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং ক্যাম্পাস খোলার জন্য যে শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে ৩নং শর্তে বলা আছে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া যাবে। আমরা জানি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মচারী এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। তাহলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে বাঁধা কোথায়? আমরা চাই অতি শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক।’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মস‚চীতে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তরিকুল আলম। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিনের অজুহাতে ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার পায়তার বন্ধের দাবি জানান। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাস খুলে না দিলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধেনে অংশ নিয়ে ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘আমরা দেখেছি সারা দেশের শিক্ষকদের সংগঠন বলছে স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর কথা। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলছেন হল নির্মাণ কাজ শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। তাহলে আমরা জানতে চাই শিক্ষা কার্যক্রম চললে কি উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করা সম্ভব না? নাকি ভেবে নেবো অনৈতিক, দুর্নীতিগ্রস্ত কাজ নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার জন্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।’
এতে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের প্রচার সম্পাদক সাদিকুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদ জাবি শাখার দপ্তর সম্পাদক ইকবাল হোসাইন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন