শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রফতানি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আয় সম্ভব

প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : স্বল্প সুদে ঋণ, গ্যাস সংযোগসহ যথাযথ সুযোগ-সুবিধা সরকার প্রদান করলে আগামী পাঁচ বছরে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে ১০ হাজার কোটি টাকা রফতানি আয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন এ খাতের শিল্প উদ্যোক্তারা।
খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিল্প উদ্যোক্তারা। এ সময় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু উপস্থিত ছিলেন। রাজধানীর ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে মঙ্গলবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাপার প্রেসিডেন্ট এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরেন বাপা-ইন্সপায়ার্ড প্রকল্পের উপদেষ্টা প্রফেসর মো. মোসলেম আলী। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের পরিচালক ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর অধ্যাপক ড. ইউসুফ এম ইসলাম, বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড প্রোগ্রামের টিম লিডার আলী সাবেত, বিসিকের সাবেক পরিচালক মো. আবু তাহের খান, প্রশিক্ষিত তরুণ এসএমই উদ্যোক্তা আবদুর রহমান ও প্রিয়দর্শি চাকমা। উদ্যোক্তারা বলেন, বর্তমানে কৃষিভিত্তিক এ শিল্প খাত থেকে বছরে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা মূল্যের পণ্য রফতানি হচ্ছে। তা আগামী ৫ বছরে শিল্পে ১০ হাজার কোটি টাকা রফতানি আয় সম্ভব। এজন্য স্বল্প সুদে ঋণ, কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র কারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সংযোগ প্রদান এবং সহজ কিস্তিতে শিল্প প্লটের মূল্য পরিশোধের সুযোগ দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, কৃষিভিত্তিক পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে মূল্য সংযোজনের সুযোগ অনেক বেশি। ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলো এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিলিয়ন ডলার রফতানি করছে। বাংলাদেশে কৃষিভিত্তিক শিল্প খাত থেকে রফতানি বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও তা এখনও পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি। তারা এ খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্যের জন্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিভাগ চালুর পরামর্শ দেন। এ শিল্প খাতে দক্ষ উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে তারা বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষণ এবং পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উদ্যোক্তা সৃষ্টিধর্মী কোর্স চালুর তাগিদ দেন। এসময় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ এর উচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতের তালিকায় কৃষি/খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী শিল্পকে শীর্ষে রাখা হয়েছে।
এ খাতের উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে সরকার রফতানির বিপরীতে শতকরা ২০ ভাগ ভর্তুকি দিচ্ছে। নতুন করে যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, সেগুলোতে কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, কৃষিভিত্তিক শিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কাঁচামালের সহজপ্রাপ্যতা বিবেচনা করে এলাকাভিত্তিক ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তুলতে হবে। এর পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার খালি জায়গায় কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এলাকাভিত্তিক কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে জেলা পর্যায়ে স্থাপিত বিসিক শিল্পনগরীতে আগ্রহী নতুন উদ্যোক্তাদের প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন