মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পুনর্বিবেচনার আহ্বান এমটবের

টেলিযোগাযোগ খাতে কর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

বাজেটে টেলিযোগাযোগ খাতে করারোপের সুপারিশ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে অ্যাসেসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব)। গতকাল মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এই আহ্বান জানান। এমটবের সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসএম ফরহাদ বলেন, ২০১৯ সালে মোবাইল বাজারের রাজস্ব ছিল দেশের জিডিপির ১ দশমিক ১ শতাংশ এবং এই খাতটির কর ও ফি প্রদানের পরিমাণ ছিল মোট সরকারি কর রাজস্বের প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। তার মানে অর্থনীতিতে মোবাইল খাত সংশ্লিষ্ট করের অবদান এর আকারের ৪ দশমিক ২ গুণ।

তিনি বলেন, মোবাইল কাভারেজের বিস্তৃতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক (একক গ্রাহক হার ৪৬ শতাংশ) এখনো মোবাইল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে পারেননি। তাই ডিজিটাল অন্তর্ভূক্তির অন্যতম শর্ত হচ্ছে মোবাইল খাতে কর কাঠামোর সংস্কার। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর মতে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মোবাইল ব্রডব্যান্ডের ব্যবহার ১০ শতাংশ বাড়লে মাথাপিছু জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সুতরাং করের মাত্রা কমিয়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে সহজেই ত্বরান্বিত করতে পারে সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে মোবাইল খাতে কর যৌক্তিকতার দাবি তুলে ধরে বলা হয়, অলাভজনক অপারেটরের উপর ন্যূনতম ২ শতাংশ টার্নওভার ট্যাক্স প্রত্যাহার বা যুক্তিসঙ্গত করা। উচ্চ কর্পোরেট করের হারকে যৌক্তিক এবং সহনীয় পর্যায়ে হ্রাস করে তালিকাভুক্ত (বর্তমান ৪০ শতাংশ) ও অ-তালিকাভুক্ত (বর্তমান ৪৫ শতাংশ) অপারেটরদের কর ২৫ শতাংশ ও ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনা। সরাসরি অপারেটর বিলিং থেকে পরিপূরক শুল্ক ও সারচার্জ প্রত্যাহার। সকল ইনট্যাক্সিবল সম্পদের উপর এমোরটাইজেশন সুবিধা প্রদান করা। মোবাইল সিমের উপরে আরোপিত ২০০ টাকা কর বিলুপ্ত করা। প্রতি ১০০ টাকা টক টাইমের উপর ও ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ২১ দশমিক ৭৫ শতাংশ ভ্যাট, এসডি ও সারচার্জ যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা। সরকারি সংস্থাসমুহের জন্য ভ্যাট ছাড় সংক্রান্ত সুস্পষ্ট নির্দেশনা বা গাইডলাইন প্রদান করা এবং অপরিশোধিত ভ্যাটের উপর আরোপিত সুদ যৌক্তিক করা।

বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, টেলিকম অপারেটরদের যুক্তিসঙ্গত কয়েকটি দাবি প্রস্তাবিত বাজেটে বিবেচিত না হওয়ায় আমরা আশাহত হয়েছি। এই বিষয়গুলির উপরে নজর দেওয়া হলে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা আরও বেশি সুবিধা পেতেন। টেলিকম খাতে করের হার বাস্তবসম্মতভাবে কমানো হলে আমাদের বিনিয়োগকারীরা অবশ্যই এখানে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে। গ্রামীণফোনের ডিরেক্টর এবং হেড অব পাবলিক অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করছি এবং বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীকে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করছি। কর ব্যবস্থাকে যৌক্তিক পর্যায়ে ঢেলে সাজালে ডিজিটাল যাত্রা আরো গতিশীল হবে এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে আমাদের অবদান আরো সমৃদ্ধ হবে।

রবি’র চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, আমাদের দাবিগুলো সামগ্রিক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে উত্থাপন করা সত্ত্বেও একটি শিল্প হিসেবে প্রতি বাজেটেই আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সরকারকে অনুরোধ করবো এই খাতের কর কাঠামো নিয়ে একটি বিশদ গবেষণা পরিচালনা করার। এতে পারস্পরিক ও আন্তরিক আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সহজ হবে। ###

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন