শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইসিটি এন্ড ক্যারিয়ার

মোবাইল অ্যাপই বলে দিবে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা: পিকেএসএফ’র সেমিনারে বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২১, ৭:৩১ পিএম

একটি জনগোষ্ঠীর মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার, নারী-পুরুষ ভেদে স্থূলতা অথবা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা, কিংবা বয়সের সাথে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা- এসবই বলে দেয়া যাবে কেবলমাত্র একটি মোবাইল অ্যাপে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) অনলাইন প্লাটফর্মে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত এক সেমিনারে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। পিকেএসএফ’র ‘সমৃদ্ধি’ কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্ট-আপ সিমেড হেলথ লিমিটেড-এর কারিগরি সহায়তায় ‘সমৃদ্ধি স্বাস্থ্য’ নামে এই অ্যাপ উদ্ভাবন করা হয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে মার্চ-ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সারা দেশের ৩৬টি জেলার ৪৮টি উপজেলার ৫১টি ইউনিয়নের প্রায় ১৩.২৭ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়।

‘সমৃদ্ধি’ কর্মসূচির স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও ওয়াশ কার্যক্রমের আওতায় ৩৭৫ জন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২ হাজার ৬৫০ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শকের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলার ২০২ টি ইউনিয়নের প্রায় ৬০ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং সেই তথ্যসমূহ সংরক্ষণ করা হয়। এই তথ্যভান্ডারকে আরো সুসংগঠিত করে একটি ডাটাবেজ তৈরির লক্ষ্যে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ৫১টি ইউনিয়নের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজ করা হয়।

পিকেএসএফ’র সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক ও সমৃদ্ধি ইউনিটের টিম লিডার মো. মশিয়ার রহমান তার উপস্থাপনায় অ্যাপটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, এই কার্যক্রমের আওতায় ইসিজি, পালস অক্সিমিটার, গ্লুকোমিটার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডিভাইসের মাধ্যমে একটি এলাকার সকল মানুষের বয়স, ওজন, রক্তচাপ, পালসসহ আরো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা করার সাথে সাথেই সেই তথ্যসমূহ একটি ডাটাবেজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে তৈরি করা অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হয়। এর ফলে প্রাপ্ত তথ্যের নির্ভুলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়, যা বিভিন্ন বিশ্লেষণে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জসীম উদ্দিনসহ পিকেএসএফ ও সিমেড হেলথ-এর কর্মকর্তারা।

ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, উন্নত দেশে মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সকল তথ্যের একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেজ থাকলেও বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্যও এ রকম কোনো তথ্যভান্ডার নেই। এ অবস্থায় এরকম একটি উদ্যোগ দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি সাধনের মাধ্যমে মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন