শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ঈদে ভারত থেকে পশু আসা ঠেকাতে হবে

আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তাজুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় যেন ভারত থেকে বৈধ-অবৈধভাবে মানুষ এবং পশু দেশে যেন আসতে না পারে। আর সে জন্য নিজ নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থানে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইকরণ এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি ওইসব কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় সীমান্ত এলাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভারত থেকে দেশে বৈধ-অবৈধ পথে অনেক পশু আসে এবং মানুষ যাতায়াত করে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আমাদের দেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, আসন্ন ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। এর বাইরে পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না।

মন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভারতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় আমাদের দেশেও কিছু কিছু এলাকায় বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় এ ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে। তাই এবছর সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করেই পশুর হাট বসানো হবে।

তিনি বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ পশুর হাট বসানোর জন্য এবং পশু জবাইয়ের যে স্থান নির্ধারণ করবেন শুধু সেখানেই হাট বসবে। এর বাইরে কোরবানির পশুর হাট ও পশু জবাই করতে দেওয়া হবে না। শহর-নগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নিজ নিজ এলাকায় সবার জন্য সুবিধা মতো জায়গায় পশুর হাট বসানোর ব্যবস্থা নেবে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, অনেক জায়গায় সড়ক-মহাসড়ক ও রেল লাইনের উপরে কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়। কর্তৃপক্ষ এসব জায়গায় হাট বসানোর ইজারা দেয় না। কিন্তু অবৈধভাবে এসব জায়গায় পশুর হাট বসানো হয়।

তিনি বলেন, রাস্তার উপর পশুর হাট বসানো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। সড়ক ও জনপথ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিসহ সবার সমন্বিত উদ্যোগে এটি বন্ধ করতে হবে। যেখানে সেখানে হাট বসতে দেওয়া যাবে না।

মন্ত্রী আরো বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশুর হাট বসানোর জন্য গত বছর গণমাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবারও যথারীতি প্রচার-প্রচারণা চালনো হবে। সিটি করপোরেশন ছাড়াও অন্য প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাবে।

সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সব সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য, তথ্য ও সম্প্রচারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব এবং বিভিন্ন অধিদফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন