স্টাফ রিপোর্টার : ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম’ সংযোজনের পরিকল্পনা করেছে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই। সংস্থাটি গোয়েন্দা সংগ্রহ ও নজরদারির কাজে ‘সার্ভেল্যান্স ড্রোন’ সংযোজনের পরিকল্পনাও করছে।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূইয়া’র এমপি সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. ইলিয়াস আলী মোল্লাহ এমপি, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি, হোসনে আরা বেগম এমপি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত ‘ডিজিএফআই-এর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। কর্নেল মো. সাজেদুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে সংস্থাটির কার্যক্রম ‘যুগোপযোগী, গতিশীল, কার্যকরী এবং আধুনিকায়নের’ জন্য নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘প্রতিকূল পরিবেশে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও সার্ভেল্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সার্ভেল্যান্স ড্রোন এবং সকল ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিশ্চিতের নিমিত্তে এন্টি ড্রোন সিস্টেম সংযোজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিজিএফআইয়ের সকল পদবীর বাস্থান সমস্যা সমাধানে গত ২৩ অগাস্ট একনেকে ১৫০ কোটি টাকার অফিসার মেস, বাসস্থান ও অন্যান্য পদবীর বাসস্থানের প্রকল্প অনুমোদন করেছে। ২০১৯ সালে এই প্রকল্প শেষ হবে। সেনা সদর ঢাকা সেনা নিবাসের বিভিন্ন স্থানে ভবন নির্মানের জন্য মোট দুই দশমিক নয় একর জমি ব্যবহারের অধিকার দিয়েছে। গত বছরের ১৮ অক্টোবর নতুন আটটি শাখা খোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ডিজিএফআই ‘বিগডাটা এনালাইটিং’ এর জন্য মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপন এবং এর সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাটাবেজ, এমআরপি ডাটাবেজ ও মেশিন রিডেবল ভিসা ডাটাবেজ, ইমিগ্রেশন ডাটাবেজ, ক্রিমিনাল ডাটাবেজ ও ফরেইনার ডাটাবেজের সংযোগ নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স ও সাইবার সিকিউরিটিতে সক্ষমতা অর্জনের জন্য চারটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভুইয়া সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেদনটি কমিটির বৈঠকে উত্থাপনের আলোচনা হয়েছে। আগামীতে আরো আলোচনা হবে। এরপর প্রয়োজনী সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে। তবে কমিটি দ্রুত জনবল বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে দেশের অভ্যন্তরে ও ক্রসবর্ডার সিকিউরিটি জোরদার করে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলে দেশের নিরাপত্তা সংস্থাসমূহকে আরো তৎপর হওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বৈঠকে সাম্প্রতিককালে দেশে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলার মাস্টার মাইন্ডদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন