ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরে নতুন মডেলের মোটর সাইকেল না পেয়ে ক্ষুব্ধ বখাটে ছেলে ফারদিন হুদা মুগ্ধর (১৭) দেওয়া আগুনে দগ্ধ বাবা ৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে বুধবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার নাম এ টি এম রফিকুল হুদা (৪৮)। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রফিকুল হুদার ভাই এ টি এম সিরাজুল হুদা এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভোর চারটার দিকে রফিকুল মারা যান। তিনি বলেন, ময়না তদন্তের পর তার ভাইয়ের লাশ দাফনের জন্য ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।
নতুন মডেলের মোটর সাইকেল না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর শহরে নিজের মা-বাবার শরীরে আগুন দেয় ১৭ বছরের ওই বখাটে কিশোর মুগ্ধ। এতে তার বাবা রফিকুল হুদা গুরুতর দগ্ধ হন। মা সিলভিয়া হুদা (৪০) সামান্য দগ্ধ হন। আগুনে কিশোরের শরীরের কিছু অংশ পুড়ে যায়।
রফিকুলের ভগ্নিপতি আকরাম উদ্দিন আহমদ জানান, চলতি বছর এসএসসি পাস করা মুগ্ধ তার বাবার কাছে নতুন মডেলের একটি মোটরসাইকেল দাবি করলে তাকে কিনে দেওয়া হয় ৫ লক্ষ টাকা দামের মোটর বাইক। কিন্তু আরো দামী ও লেটেস্ট মডেলের মোটরসাইকেল কিনে দিতে চাপ সৃষ্টি করে মুগ্ধ। অস্বীকৃতি জানালে সে বাবার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। একপর্যায়ে ঘরের মধ্যে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাবা রফিকুলের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। মা সিলভিয়ার পায়ের কিছু অংশ পুড়ে যায়।
ঘটনার পর এলাকাবাসী তিনজনকেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। রফিকুলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত শুক্রবার তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সিলভিয়া ও তাঁর ছেলেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতের ভগ্নিপতি আকরাম উদ্দিন বাদী হয়ে নিহতের একমাত্র পুত্র ফারদিন হুদা মুগ্ধকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। তিনি বলেন, পুলিশ চেষ্টা করছে মামলার এজাহারভুক্ত আসামীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন