শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে ‘বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধারে পরিকল্পনা’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২১, ৬:৫৫ পিএম

সাম্প্রতিককালে মানব সভ্যতার উন্নয়নের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্রমাবনতি সকল প্রাণের অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি। অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়ন, প্রাকৃতিক সম্পদের যথেচ্ছ ব্যবহার, পরিবেশ সম্পর্কিত অসচেতনতা, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন ও সুষ্ঠু নজরদারির অভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন নগর-গ্রামীণ ও আঞ্চলিক এলাকায় বিপন্ন হচ্ছে প্রাণ প্রকৃতি এবং ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশকে ধ্বংস করে উন্নয়ন টেকসই হতে পারেনা, সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকলে ও রাজনৈতিক দৃঢ়তা থাকলে পরিবেশ-প্রতিবেশকে সমুন্নত রেখে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব। বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স (বি.আই.পি.) এর উদ্যোগে ১৯ জুন ২০২১, শনিবার, সকাল ১১.০০টায় অনলাইন প্লাটফর্মে ‘বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধারে পরিকল্পনা’ শীর্ষক একটি পরিকল্পনা সংলাপে বিশেষজ্ঞরা উপরোক্ত মতামত প্রদান করেন।

বি.আই.পি.-র সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারে পরিকল্পনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত পরিবেশগত বিপর্যয়ের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বি.আই.পি.-র গবেষণায় জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুসংস্থান ধ্বংসের কারণ বিশ্লেষণের জন্য পরিবেশগত বিপর্যয়ের ১০০ টি কেইস স্ট্যাডি সমীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে পানি দূষণ (৪২), বায়ু দূষণ (২৯), মাটি দূষণ, বৃক্ষ নিধন (১৭), প্লাস্টিক দূষণ (৮) ও অন্যান্য দূষণ (৮) নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঘটনাসমূহ পর্যালোচনার মাধ্যমে বি.আই.পি.-র সমীক্ষায় পরিলক্ষিত হয় যে, পরিবেশ ও প্রতিবেশ দূষণের শতকরা ৭০ ভাগ ঘটনার ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের দায় আছে, শতকরা ৫০ ভাগ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের দায় পরিলক্ষিত হয়। অনুরূপভাবে এ ধরনের পরিবেশ দূষণের ঘটনা বিশ্লেষণে নগর কর্তৃপক্ষ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে ৫০%, শিল্প কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ও পণ্য উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান ৫০%, বনবিভাগ ৩০%, সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব ৬০% ও জনগণের উদাসীনতার ৪০% ক্ষেত্রেই দায় রয়েছে।

উপস্থাপিত প্রতিবেদনে পরিবেশ দূষণের কারণগুলো পর্যালোচনার মাধ্যমে পানি, বায়ু, মাটি, শব্দ ও প্লাস্টিক দূষণের পেছনে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব, আবর্জনা ব্যবস্থাপনার অভাব, অনিয়ন্ত্রিত ইটিপি বিহীন কলকারখানা স্থাপন, অবৈধ ইটভাটার আধিক্যতা, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই বিভিন্ন শিল্প কারখানা, ইটভাটা ও বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনকারী কার্যক্রম পরিচালনা, বন উদ্যান এর গাছ কেটে ফেলা সহ নানাবিধ পরিবেশগত বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরেন ড. আদিল। পরিবেশ বিপর্যয় এবং নানাবিধ বিরূপ প্রভাবের প্রেক্ষাপটে পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিকল্পনা নীতিতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুসংস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরে বিআইপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্তরিক সদিচ্ছা থাকলে বিদ্যমান পরিকল্পনা এবং আইন-নীতিমালার অনুসরণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়েই আমাদের ভৌত ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব ।

বি.আই.পি.-র সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, পরিবেশের প্রতি আমাদের সংবেদনশীল হতে হবে এবং পরিবেশের প্রতি যত্নশীল থেকে উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাতে হবে। তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন সংক্রান্ত সকল নীতিমালায় পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে এবং পরিবেশ নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখেই আমাদের পরিকল্পনা ও উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে মত দেন বি.আই.পি.-র সভাপতি।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির-উল-জব্বার বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেন। একই সাথে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মহা পরিকল্পনার অভাব এবং সাধারণ জনগণের অসেচতনতা আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পরিবেশ রক্ষায় খুলনার খাল পুনরুদ্ধার চেষ্টা, খেলার মাঠ, পার্ক, উন্মুক্ত স্থান বৃদ্ধি, প্রতিবছর গাছ রোপণ, জ্বালানী হিসেবে ফসিল ফুয়েলের ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করে সোলার সিস্টেম কে উৎসাহিত করার সাম্প্রতিক উদ্যোগের কথাও বলেন এই পরিকল্পনাবিদ।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ মাকসুদ হাশেম বলেন পরিবেশ রক্ষায় গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ব্যর্থতার মূলে রয়েছে সমন্বয়হীনতা ও পরিকল্পনাকে বুঝতে না পারা। বিভিন্ন সময়ে গৃহীত নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা গুলোর মালিকানা না থাকায় সেই পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়ন ও হয়না। এছাড়াও বিভিন্ন শহরের গৃহস্থালি বর্জ্য পানির ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক আলাদা না করার ফলে নদী খালের পানি দূষিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকার নদী খাল রক্ষায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর বিশেষ পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর টাউন প্ল্যানার আজমেরী আশরাফী রাজশাহী নগরের পরিবেশ রক্ষায় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, পানি দূষণ রোধে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ড্রেনেজ পরিকল্পনা, বায়ু দূষণ রোধে ৪২ শতাংশ ভূমিকে কৃষি জমির জন্য বরাদ্দ রাখা এং প্রতিটি সংস্থাকে তাদের কার্যক্রমে বৃক্ষ রোপনে উদ্বুদ্ধ করা এবং ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, যার কারণে রাজশাহী শহরে পরিবেশ এর মানদণ্ডে ভাল অবস্থানে আছে। এছাড়াও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সকল সংস্থা ও সকল স্তরের মানুষকে একাত্ম করা অত্যন্ত জরুরী বলেও তিনি মন্তব্য করেন। মহাপরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সকলের কাছে পৌঁছাতে পারলেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হয় বলে মন্তব্য করেন এই পরিকল্পনাবিদ।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ মঈনুল ইসলাম বাস্তুসংস্থান, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশ প্রতিবেশ বিবেচনায় ইনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট (ইআইএ) এর সাথে ইকোলজিকাল ইনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট (ইইআইএ) করা, বাস্তুসংস্থানের ধারণ ক্ষমতা নির্ধারণ করে উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজানো এবং প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনার নিয়মনীতি তৈরি করার কথা বলেন।

নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, কক্সবাজার এর নগর পরিকল্পনাবিদ নাজিম উদ্দীন কক্সবাজারের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, অপরিকল্পিতভাবে গাছ কেটে ও পাহাড় কেটে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। কক্সবাজারে পর্যটকদের থাকার জন্য অনেক হোটেল এবং মোটেলের স্থাপনা রয়েছে, যার কারণে বর্জ্যের পরিমাণও অনেক বেশি কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখানে কোন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা নেই। তিনি মনে করেন পরিকল্পিত ভাবেই বাস্তুসংস্থানের পুনরুদ্ধার সম্ভব, তাই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন জরুরী।

লাকসাম পৌরসভার শহর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মাস্টার প্ল্যানে অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্বের সাথে পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বারোপ করতে হবে। পরিবেশকে সংরক্ষণ করতে না পারলে আমাদের টেকশই উন্নয়ন সম্ভব না। ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনায় কোন গাছ কোন এলাকার জন্য উপযোগী তা উল্লেখ করতে হবে এবং দেশীয় গাছগুলোকে রোপনে গুরুত্ব দিতে হবে বলে মত দেন তিনি।

রংপুর সিটি কর্পোরেশন এর নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, রংপুর শহরের জন্য মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে, যেখানে পানি, বায়ু এবং ভুমি ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রংপুরে যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছর পর পুরান ঢাকার মতো অবস্থা তৈরি হবে। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই কৃষিজমিতে কল-কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর সহকারি নগর পরিকল্পনাবিদ জনাব আবু সাঈদ বলেন, বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধার করতে হলে আমাদের জাতীয় ভৌত পরিকল্পনা করতে হবে। খুলনা শহরে অনেক জলাশয় ও খাল হারিয়ে গেছে, সিএস ম্যাপে উল্লেখিত খালগুলো আমাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং জলাশয়ের আশেপাশে গাছ লাগাতে হবে। আমাদের টিকে থাকার জন্য বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধার করা সময়ের দাবি।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর সহকারি অথরাইজড অফিসার পরিকল্পনাবিদ তামান্না বিনতে রহমান বলেন, ঢাকার শহরের প্রস্তাবিত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষনে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে এবং উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সুপারিশমালা প্রদান করা হয়েছে। বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য উন্নয়ন কার্যক্রমে সকল প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় সাধন করবার গুরুত্ব দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, শিল্প কারখানাগুলো কোথায় হবে তাঁরও একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রস্তাবিত ড্যাপে উল্লেখ করা হয়েছে যার মাধ্যমে শিল্পায়ন করা হলে পরিবেশ বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর নগর পরিকল্পনাবিদ তানভীর রহমান বলেন, সিলেট শহরে ১২ বছর আগে ২৭টি খাল ছিল যার বর্তমান সংখ্যা ১৭টি এবং যার মধ্যে বর্ষাকালে সাতটি খালের প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়। বাসাবাড়ি থেকে সকল বর্জ্য খালে ফেলা হচ্ছে এবং খাল ভরাট করে উন্নয়ন কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে, যা খালগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করছে। তিনি আরও বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রমের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যা বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে।

পরিকল্পনা সংলাপে পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষায় বি.আই.পি.-র পক্ষ থেকে প্রদত্ত সুপারিশগুলো হলঃ
• পরিবেশ দূষণ রোধে আবর্জনা সংগ্রহ, পরিবহন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পুনর্ব্যবহার এবং নিস্কাশনের সমন্বিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা করা
• শিল্প-কারখানায় ইটিপি বা শোধনাগার ব্যবহার না করায় জীববৈচিত্র্য (বায়ু, পানি, শব্দ) ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়ছে, ইটিপিবিহীন শিল্প কারখানা বন্ধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া
• ভূমি পরিকল্পনার মাধ্যমে শিল্পকারখানার জন্য জায়গা বরাদ্দ করা
• বাস্তুসংস্থান জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ও উন্নয়নের স্বার্থে প্রদত্ত সকল আইন, নীতি অনুসরণ ও প্রয়োগ করা
• পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করা
• সকল প্রকার দুষণ ও পরিবেশ অবক্ষয়মূলক কর্মকান্ড সনাক্তকরণ ও নিয়ন্ত্রণ করা এবং দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা
• নতুন প্রকল্প গ্রহণের আগে পরিবেশের অবক্ষয়মূলক দিকগুলো সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া
• জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব থেকেপরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ
• প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের উপর মানুষের চাপ কমিয়ে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সমগ্র বাংলাদেশকে নিয়ে ভৌত পরিকল্পনা করা
• পরিবেশ-প্রতিবেশকে প্রাধান্য দিয়ে নগর, গ্রামীণ ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও পূর্ণাংগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন