কর্পোরেট রিপোর্টার : শল্প খাতে ঋণ বিতরণে কিছুটা ধীরগতি দেখা দিয়েছে। নতুন বিনিয়োগ কমে যাওয়া ও পুনঃতফসিল করা ঋণ মেয়াদি ঋণ হিসেবে দেখানোর সুযোগ বন্ধসহ নানা কারণে এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১৬ শতাংশ। এ সময়ে শিল্পের মেয়াদি ঋণে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শিল্পের মেয়াদি ঋণ বেড়েছিল ৪১ শতাংশের বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, শিল্পের মেয়াদি ঋণে খুব বেশি প্রবৃদ্ধি না হওয়ার প্রধান দুটি কারণ হলোÑ আগে অনেক ব্যাংক পুনঃতফসিল করা ঋণের একটি অংশ নতুন ঋণ হিসেবে দেখিয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরে আসার পর তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন মেয়াদির তুলনায় চলতি মূলধন খাতে বেশি হারে ঋণ যাচ্ছে। এসব কারণে শিল্পের মেয়াদি ঋণে প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। অন্যদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শিল্পের মেয়াদি ঋণের আদায় হয়েছে ৪৮ হাজার ২২৫ কোটি টাকা। আগের অর্থবছর আদায়ের পরিমাণ ছিল ৪৭ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গত অর্থবছরে ব্যাংকগুলো শিল্পের মেয়াদি ঋণ বিতরণ করেছে ৬৫ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা। আগের বছর বিতরণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা। এতে দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে শিল্পের মেয়াদি ঋণ বিতরণ বেড়েছে মাত্র পাঁচ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা, যা ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এর আগের একই সময়ের তুলনায় শিল্পের মেয়াদি ঋণ বেড়েছিল ১৭ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা বা ৪১ দশমিক ২৯ শতাংশ। সংশ্লিষ্টদের মতে, বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়লে স্বাভাবিকভাবে শিল্পের মেয়াদি ঋণ বাড়ে। গত অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণে ১৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। গত কয়েক বছরের মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ বেশি হারে বাড়লেও শিল্পের মেয়াদি ঋণ বেড়েছে তুলনামূলক কম হারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন