কঠোর নজরদারির মধ্যে থেকেও রোহিঙ্গাদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা রোহিঙ্গারা। এতো সতর্কাবস্থা থাকার পরেও কিভাবে একাজ হচ্ছে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্টরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গাদের হাতে বাংলাদেশের এনআইডি পৌঁছার বিষয়টি দুশ্চিন্তার। তবে এ ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য সরকার সতর্ক রয়েছে। গতকাল রোববার সচিবালয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, কিছু ঘটনা যে ঘটেনি তা আমরা অস্বীকার করছি না। তবে আর যেন না ঘটে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জন্য নির্ধারিত যে ক্যাম্প রয়েছে সেখান থেকে তারা বের হতে পারবেন না। তাদের প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি আরও কঠোর হবে। রোহিঙ্গাদের হাতে যেন আর পাসপোর্ট কিংবা ন্যাশনাল আইডি না যায় সেটা আমরা দেখছি।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নীপিড়নের মুখে দেশটি থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এরপর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ওই বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি চুক্তি সই করে। ২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যাবাসন শুরু করতে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। ওই গ্রুপের চতুর্থ ও শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের মে মাসে মিয়ানমারের নেপিডোতে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে গ্রুপের পঞ্চম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা এক রকম থেমে রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় না এগোতে পেরে সরকার রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তর শুরু করেছে। ধাপে ধাপে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে এরইমধ্যে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, ইজারাকৃত জায়গায় স্থানীয় সরকার নির্ধারিত ফি, টোল, পরিবহনের টার্মিনাল ছাড়া অন্য কোনো জায়গা থেকে চাঁদা আদায় করতে পারবে না। নির্ধারিত স্থান থেকে টোল বা রাজস্ব আদায় করতে হবে। সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবহনের যে চাঁদা, যেটা মালিক বা শ্রমিকরা নিয়ে থাকে সমিতি চালানোর জন্য, সেটাও নির্ধারিত রয়েছে, সেটাও বাস টার্মিনাল বা যেখান থেকে বাস ছাড়েন এর বাইরে কেউ নিতে পারবে না। পরিবহন শ্রমিকদের মালিকপক্ষ থেকে নিয়োগপত্র দিতে হবে। সেটা দেওয়ার জন্য মালিক ও শ্রমিক পক্ষ উপস্থিত ছিলেন। তারা দুই পক্ষ নিজেরা বসে এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মিটিংয়ের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত হয়নি কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সড়ক আইনের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে আছে, মালিকদের অবশ্যই নিয়োগপত্র দিতে হবে। সেই আইনটি পাস হয়েছিল। সেটি পরিশুদ্ধ করে আবার পার্লামেন্টে আসছে।
তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যেই কমিটির ১১১টি সুপারিশ ছিল। পরে এ বিষয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। বেশকিছু সুপারিশ বাস্তবায়নে পথে, অল্প কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকিগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করবো আমরা সেই বিষয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন