মিয়ানমারের এক গৃহকর্মীকে অনাহারে রেখে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে সিঙ্গাপুরের এক নারীকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। মারা যাওয়া মিয়ানমারের নাগরিক ওই গৃহকর্মীর নাম পিয়াং নাইহ ডন (২৪)। সাজাপ্রাপ্ত ওই গৃহকর্ত্রীর নাম গায়িথ্রি মুরুগায়েন। তার স্বামী একজন পুলিশ কর্মকর্তা। অসহায় গৃহকর্মীকে গায়িথ্রি যেভাবে হত্যা করেছেন তার বর্ণনায় কৌসুঁলিরা ওই নারীকে ‘শয়তান ও চরম অমানবিক’ বলেছেন। -বিবিসি, স্ট্রেইট টাইমস
এই মামলার রায়ে বিচারক বলেন, কীভাবে ২৪ বছরের একজন নারীকে নির্যাতন, অপমান ও অনাহারে রেখে শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা করা হয়েছে, তার চিত্র কৌসুঁলিরা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। এটা সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে নিন্দনীয় হত্যাকাণ্ডের একটি। ওই গৃহকর্মী মারা যাওয়ার আগে একমাস ধরে যে মাত্রার নির্যাতন সহ্য করেছেন, তার সঠিক বর্ণনা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। কৌসুঁলিরা আদালতে জানান, ২০১৫ সালের অক্টোবরে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে মিয়ানমার থেকে সিঙ্গাপুরে যান পিয়াং নাইহ ডন। সেটিই ছিল বিদেশের মাটিতে তার প্রথম কাজ। শুরু থেকেই গৃহকর্ত্রী গায়িথ্রি তাকে নির্যাতন করতেন।
বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পিয়াং তার জীবনের শেষ এক মাসে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হন। প্রায়ই তাকে দিনে কয়েকবার মারধর করা হত। গৃহকর্ত্রী তাকে ইস্ত্রি গরম করে ছেঁকা দেন, কখনও তুলে আছাড় মারেন। তাকে খাবারও ঠিকমত দেওয়া হতো না। ফলে ১৪ মাসে পিয়াংয়ের ওজন ১৫ কেজি কমে যায়। পিয়াং ২০১৬ সালের জুলাই মাসে মারা যান। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবের কথা বলা হয়। ক্রমাগত তার শ্বাসরোধ করার কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন