বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ফোনালাপ ফাঁস ও আড়িপাতার বিষয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

ফোনে আড়ি পাতা এবং ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) কি পদক্ষেপ নিয়েছে-জানতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বারের দশ আইনজীবীর পক্ষে এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এই নোটিশ দেন। ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বিটিআরসি নোটিশটির ‘প্রাপক’। প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে-মর্মে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে নোটিশে। নোটিশপ্রদানকারী ১০ আইনজীবী হলেন,অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বনিক, শাহ নাবিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, মুস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির।
রেজিস্ট্রার্ড ডাকযোগে পাঠানো নোটিশে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ১৬টি আড়িপাতার ঘটনা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার সংলাপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোনালাপ, মরহুম রাজনীতিক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসানের ফোনালাপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়। এসব আড়িপাতার ঘটনা সেসময় বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বহুল প্রচারিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।
নোটিশে বলা হয়, সার্বজনীন মানবাধিকার সনদপত্র, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বের সকল আধুনিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। এরই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই অধিকার সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থাৎ, সংবিধানের তৃতীয় ভাগে উল্লিখিত মৌলিক অধিকারসমূহের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ অন্যতম।
এছাড়া ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট, ২০০১ প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের ধারা ৬ অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ধারা ৩০(চ) অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের একান্ততা রক্ষা নিশ্চিত করা এই কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এ ধরণের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহই ঘটছে। অথচ, বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কমিশনের দায়িত্ব হলো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন