বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সেই মেহজাবিনের স্বীকারোক্তি

মা-বাবা-বোনকে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০২১, ১২:০৩ এএম

রাজধানীর কদমতলী থানার মুরাদপুরের হাইস্কুল রোডের একটি বাসা থেকে এক দম্পতি ও তাদের মেয়ের লাশ উদ্ধারের মামলায় ওই দম্পতির বড় মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
চারদিনের রিমান্ড শেষে গতকাল দুপুরে মেহজাবিনকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জাকির হোসাইন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত ২০ জুন মেহজাবিনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২১ জুন তার স্বামী শফিকুল ইসলাম অরণ্যর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জানা যায়, মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা ২৬ বছর ধরে সৌদি প্রবাসী ছিলেন। মাঝে মধ্যে তিনি দেশে আসতেন। মাসুদ রানা তার মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুনকে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দেন।
এরপর থেকে মেহজাবিন সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য তার মা মৌসুমী ইসলামকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতেন। সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় মেহজাবিন ছয় মাস আগে থেকে মাসুদ রানা, তার স্ত্রী মৌসুমী এবং মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম মোহনীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। মাসুদ রানা তিন মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন।
মেহজাবিন ও শফিকুল গত ১৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাসুদ রানার বাসায় আসেন। রাত ৯টা থেকে বিভিন্ন সময়ে চা-কফি ও পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মাসুদ রানা, মৌসুমী ইসলাম এবং মোহনীকে তা খাওয়ানো হয়। এতে সবাই অচেতন হলে আসামিরা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে একে একে সবার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় নিহত মাসুদ রানার বড় ভাই সাখাওয়াত হোসেন ভাতিজি মেহজাবিন ও শফিকুলকে আসামি করে কদমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন