শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

আগুনে পুড়ে মরার আগে জনগণের কথা ভাবুন : আলাল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০২১, ৭:২১ পিএম

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, যে আগুন নিয়ে আপনারা খেলছেন, সেই আগুনে নিজেরা পুড়ে মরার আগে সাধারণ জনগণের কথা ভাবেন। শনিবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী রিকশা-ভ্যান শ্রমিক দল আয়োজিত ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের প্রতিবাদে ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।

আলাল আরও বলেন, এখনও সময় আছে, শুধু নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করবেন না। ঘরে আগুন লাগলে পীর সাহেবের ঘরও কিন্তু আগুন থেকে বাদ যায় না। পাপীদের ঘরও আগুন থেকে বাদ যায় না। আপনারা বাদ যাবেন, এ কথা ভাববেন না। যে আগুন নিয়ে খেলছেন, সেই আগুনে নিজেরা পুড়ে মরার আগে সাধারণ জনগণের কথা ভাবেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন এবং অটোরিকশা শ্রমিকদের বাঁচার স্বার্থে এগুলো চলতে দিন। তাদের পুনর্বাসন করার পরে এগুলো বন্ধ করার চিন্তা করুন। এ বিএনপি নেতা বলেন, যারা ডিজিটাল ডিজিটাল করেন, দেশকে ডিজিটাল করেছেন তথ্যটা আসলে ঠিক নয়। ডিজিটাল সার্ভের ওপর আন্তর্জাতিক সংস্থা এইম বিজনেস ইনডেক্স একটি জরিপ চালিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপারে বাংলাদেশ হচ্ছে সবচেয়ে পেছনে পড়া দেশ। বাংলাদেশের নিচে আছে শুধু আফগানিস্তান। নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্তান যারা আছে প্রত্যেকেই আমাদের উপরে। সুতরাং এ সরকার ডিজিটাল সরকার না। এ সরকার হচ্ছে দুর্নীতিবান্ধব সরকার। শ্রমিক ও গরিববান্ধব সরকার নয়।

তিনি বলেন, লকডাউন নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের আত্মীয়-স্বজন আছেন, তারা যখন ফোন দিয়ে আমাদের লকডাউনের কথা শুনেন তখন হাসাহাসি করেন। কখনো লকডাউন, কখনো শাটডাউন, কখনো কঠোর লকডাউন, এরপর দেবে নেত্রীর কসম লকডাউন, কোনো লকডাউন কাজ করছে না। লকডাউন থেকে এখন গেছে কঠোর শাটডাউন। কঠোর শাটডাউন কবে আবার হবে আল্লাহর কসম শাটডাউন। আলাল বলেন, যারা এই অটোরিকশা আমদানি করেছে তারা তো আপনাদের (আওয়ামী লীগের) লোক। তাদের লাভ হয়ে গেছে, তাদের টাকা উঠানো হয়ে গেছে। এখন যাদের কাছে এগুলো দিয়েছেন তাদের তো রাস্তায় মারতে পারেন না। এই অটোরিকশা, ভ্যান বন্ধ করার আগে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন। এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করে তারপরে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করেন। তা না হলে পেটের ক্ষুধা কিন্তু কোনো আইন মানে না। পেটের ক্ষুধা আইনের কোনো বেড়াজাল মানে না। এটা কিন্তু একসময় বি‌ক্ষো‌ভে পরিণত হবে। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোঃ মেজবা উদ্দিন ২৬ জুন, ২০২১, ৮:০৫ পিএম says : 0
মনে হয় আবার আগুন নিয়ে খেলবেন উনি। ওনার মনে রাখা উচিৎ দেশনেত্রী আগুন প্রতিহত করার মন্ত্র ভালোই জানেন। বরং তওবা করেন আর কখনো আগুন নিয়ে খেলবেন না। দেশের মানুষ অনেক ভালো আছে শুধু মাত্র আপনার মতো গুটি কয়েকজন ছাড়া। গোটা পৃথিবী যখন করোনা মহামারীতে বিধ্বস্ত তখন আপনি আগুনের কথা বলছেন আপনি বা আপনার দল কত বড় জনদরদি তাহা বাঙ্গালী জাতি ভালোই জানে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন