নামের মিল থাকায় কারাভোগ করছেন নিরীহ মানিক। বিচার বিভাগীয় তদন্তের এমন প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে হাইকোর্টে। গতকাল সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উত্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। তিনি জানান, গত ৭ মার্চ মাদক মামলায় মানিক নামে এক আসামির বদলে একই নামের আরেক ব্যক্তি কারাভোগ করছেন, এমন অভিযোগে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। ওইদিন একই আদালত আসামি না হয়েও কারাভোগকারী মানিকের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট পার্থ সারথী রায়। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। এর আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ এনে ‘নির্দোষ’ মানিককে মুক্তি দিতে রিট করা হয়। আইনজীবীরা জানান, ২০০৯ সালে একটি গাড়িতে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল পাওয়ার অভিযোগে ওই বছরের ২ জুন সিরাজগঞ্জের সালঙ্গা থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলার আসামি মো. মানিক মিয়াকে ২০০৯ সালের ৩ জুন গ্রেফতার করে পুলিশ। কিছুদিন কারাভোগের পর একই বছর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মানিক। পরে রায়ে চার আসামিকে চার বছরের কারাদন্ড দেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার মন্টু শেখ ওরফে জামাল উদ্দিন ও সোহরাব হোসেন, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মো. জামাল হোসেন ও শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মো. মানিক মিয়া।
মানিক হাওলাদারের ছোট ভাই রতন হাওলাদার বলেন, আমাদের বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলম চাঁন বেপারিকান্দি গ্রামে। বাবার নাম নজরুল ইসলাম। মায়ের নাম রেজিয়া বেগম। পক্ষান্তরে দন্ডিত আসামি মো. মানিক মিয়ার পিতার নাম ইব্রাহিম মৃধা। মায়ের নাম লুৎফা বেগম। তার বাড়ি মালতকান্দি, সখিপুর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন