বর্তমানে দেশে কিশোর অপরাধ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা হত্যাকাণ্ডের মতো হিংস্র ও নৃশংস অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে। পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করতে এখনই কিশোর গ্যাং কালচারের লাগাম টেনে ধরা দরকার। গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর প্রায় দেড় হাজার জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার র্যাব সদর দফতরে সাম্প্রতিক সময়ের দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন র্যাবের ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, কিশোর অপরাধ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। র্যাব ‘কিশোর গ্যাং’ নামক অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান পরিচালনা করেছে। আমরা প্রত্যাশা করি, সন্তানের প্রতি পরিবার আরও নজর দেবে। পাশাপাশি সমাজ ও শিক্ষাঙ্গনকে এগিয়ে আসতে হবে। যারা কিশোরদের গ্যাংয়ে রূপান্তর করছে অর্থাৎ ‘পৃষ্ঠপোষক’, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
র্যাবের ডিজি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি কর্মহীন, অসহায় ও দুঃস্থদের খাদ্য সহায়তা দেয়া, সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অসুস্থ রোগীদের জরুরি সেবা দেয়া ও অন্যান্য মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে র্যাব মানুষের আস্থা ও অফুরন্ত ভালোবাসা অর্জন করেছে। র্যাবের ৪৭ পুলিশ সুপারের পোস্টিং প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিজি বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ হলে আদালতে প্রতিবেদন পেশ করব।
মামলার তদন্তে এত সময় লাগার কারন কি র্যাবের সক্ষমতা কম? এমন প্রশ্নে ডিজি বলেন, র্যাবের সক্ষমতা কম এ কথা আমি বলব না। সব মামলার ক্ষেত্রে যে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ডিটেক্ট করতে পেরেছি, এটা কিন্তু না। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করে যাচ্ছি। এর চেয়ে বেশি সময় ধরেও অনেক মামলা বিভিন্ন সংস্থার কাছে তদন্তাধীন রয়েছে।
ডিজি বলেন, হোলি আর্টিজানে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সারোয়ার জাহানসহ অর্থদাতা অনেককেই গ্রেফতার করেছে র্যাব। হোলি আর্টিজানে হামলার আগে থেকে এখন পর্যন্ত আড়াই হাজার জঙ্গিকে র্যাব গ্রেফতার করেছে। জঙ্গিবাদে জড়িত ১৬ জন তরুণ-তরুণী এখন পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের পুনর্বাসনে কাজ করছে র্যাব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন