শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশে আগাম দুর্যোগ সতর্কীকরণ ব্যবস্থা আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০২১, ৮:০৮ পিএম

বাংলাদেশের আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা সমাদৃত হয়েছে বলে মনে করছে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল)-এ দুর্যোগ সতর্কীকরণ গবেষণা কেন্দ্রে। গতকাল বুধবার রাতে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল)-এ দুর্যোগ সতর্কীকরণ গবেষণা কেন্দ্রের (ওয়ার্নিং রিসার্চ সেন্টার) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ভার্চুয়ালি এই কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থায় অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করায় এই অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীনকে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। ত্রাণ সচিব উপস্থাপনায় বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ত্রাণ নির্ভর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে দুর্যোগঝুঁকি হ্রাসমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন। ৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আগাম সতর্কবার্তা প্রচার ব্যবস্থা শুরু করেন। উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রচারে সিপিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব বলেন, ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপি’র যাত্রা শুরু করেছিলেন যাঁরা আগাম সতর্কসংকেত প্রচার এবং সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা ৭৬ হাজার ২০ জনে উন্নীত হয়েছে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের ৫০% নারী। পুরো দেশ জুড়ে আধুনিক আবহাওয়ার রাডার এবং পূর্বাভাস ব্যবস্থা রয়েছে। উপকূলে ৫ হাজারের বেশি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
দুর্যোগে প্রাণহানির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব বলেন, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে সাম্প্রতিক কালে একই মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি একক সংখ্যায় নেমে এসেছে। দুর্যোগ সতর্কীকরণ গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিচালক ড. কারিনা ফার্নলি, উপ-পরিচালক অধ্যাপক ইলান কেলমান, ইউসিএল সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডিজাস্টারের পরিচালক অধ্যাপক মওরিন ফর্ডহ্যাম এবং লিভারপুল হোপ ইউনিভার্সিটির আর্লি ওয়ার্নিং বিশেষজ্ঞ এলিস বেনেটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। আর্লি ওয়ার্নিং বিশেষজ্ঞ এলিস বেনেট বলেন, বিপূল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকের অংশগ্রহণের কারণে বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি একটি বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এই প্রক্রিয়ায় দুর্যোগপ্রবণ দেশসমূহ তাদের দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে উদ্যোগ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন