কর্পোরেট ডেস্ক : সুদের হার বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এটি হতে পারে। সেপ্টেম্বর মাসের বৈঠকে সংখ্যাগরিষ্ঠ নীতিনির্ধারকরা এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন। সুদ হার ০.২৫ থেকে ০.৫ শতাংশের মধ্যে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। অবশ্য তিনজন কর্মকর্তা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। জানা গেছে, আবারও সুদ হার বাড়ানোর বিষয়ে নীতিনির্ধারকরা বিভক্ত কারণ, অস্থিতিশীল শেয়ার মার্কেট, চীনা অর্থনীতির শ¬থ প্রবৃদ্ধি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। সূত্র : বিবিসি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের পর ফেডের কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবারই এতো বেশি কর্মকর্তা দাঁড়ালেন। ফেড বলছে, জাতীয় তহবিল শক্তিশালী হয়েছে। তবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে আরও কিছু তথ্যপ্রমাণ পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন তারা। দ্য ফেডারেল ন্যাশনাল মর্টগেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অর্থনীতিবিদ ডজ ডানকান বলেছেন, যদিও বেশ বড় সংখ্যায় বিরোধী আছেন। মনে হচ্ছে এই হার নির্ধারণের জন্য আরও বড় পরিসরে আলোচনার দরকার হবে। পরিস্থিতির যদি অবনতি না হয় তাহলে মনে হয় তারা ডিসেম্বরে সুদ হার বাড়াবেন। ফেড বলছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন অর্থনৈতিক কর্মকাÐে গতি বেড়েছে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হারও স্থিতিশীল। স্বল্পমেয়াদে কোনো ঝুঁঁকির সম্ভাবনা ‘মোটামুটি ভারসাম্যপূর্ণই’ থাকবে। খুব সম্প্রতি সুদ হার বাড়ালেও গত বছরের শেষ নাগাদের পর অর্থনীতির জন্য এমন কোনো ইতিবাচক শব্দ ব্যবহার করেনি ফেড। এদিকে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি বলছে, তারা আশা করছেন সামনের সময়গুলোতে মূল্যস্ফীতি কম থাকবে। জ্বালানি তেলের দাম পড়ে যাওয়া এর একটা কারণ হবে। তবে এটি ফেডের মধ্য মেয়াদের লক্ষ্যমাত্রা (২%) ছাড়িয়ে যেতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন