শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অনলাইনে তৎপর জঙ্গিরা নজরদারি অব্যাহত

হোলি আর্টিজানে হামলার ৫ বছর

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২১, ১২:০৪ এএম

নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে চার দেশের রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা

জঙ্গি সংগঠনগুলো দেশে বিভিন্ন সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। তারা এখন কৌশল বদলে অনলাইনে নিজেদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি কারণে জঙ্গিরা সক্রিয় হয়ে উঠতে পারছে না। হলি আর্টিজানে হামলার ৫ বছর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান-২ এ পুলিশ কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন খান ও মো. রবিউল করিমের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে এসব কথা জানান র‌্যাবের মহাপরিচালক ও ডিএমপি কমিশনার। এ সময় তারা এ সব কথা বলেন। অন্যদিকে হলি আর্টিজান বেকারি হামলার ৫ম বছর উপলক্ষে নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চার দেশের রাষ্ট্রদূত। বৃহস্পতিবার গুলশানে হলি আর্টিজান হামলার স্থানে তারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, জঙ্গি দমনে র‌্যাবের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে জঙ্গিরা অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে র‌্যাবের নিয়মিত অভিযান ও নজরদারি কারণে জঙ্গিরা তৎপরতা দেখাতে পারছে না।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, সারা বিশ্বে জঙ্গিরা এখন অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমাদের দেশেও অনলাইনে জঙ্গি কার্যক্রম দেখা যায়। তবে অনলাইনে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে।

৪ রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা : অন্যদিকে হলি আর্টিজান বেকারি হামলার ৫ম বছর উপলক্ষে নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চার দেশের রাষ্ট্রদূত। বৃহস্পতিবার গুলশানে হলি আর্টিজান হামলার স্থানে তারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নিহতদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদনে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা ও ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী যোগ দেন। ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে মর্মান্তিক হামলার ঘটনা ঘটে। সে সময় ২২ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ৯ জন ইতালির, ৭ জন জাপানের, একজন ভারতীয় এবং একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

এদিকে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বার্তায় বলেছে, আমরা অবিন্তা কবীরকে স্মরণ করছি। অবিন্তা কবীর ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক এবং এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আরো স্মরণ করছি তার সহপাঠী ফারাজ হোসেনকে যিনি নিরাপদে চলে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া সত্তে¡ও তার বন্ধুদের সাথে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আমরা আরো স্মরণ করছি বার্কলি’র দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ঢাকাস্থ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তারিশি জৈনকে যিনি গ্রীষ্মকালীন ইন্টার্নশীপের জন্য ফিরে এসেছিলেন। গভীর শ্রদ্ধাভরে আমরা স্মরণ করছি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকারকারী দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও আহত ২৫ কর্মকর্তার সাহসিকতাকে। শোকাবহ এই বার্ষিকী অনুষ্ঠানে আমরা সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। যারা প্রাণ দিয়েছেন তারা সকলেই শান্তিতে সমাহিত থাকুন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন