স্টাফ রিপোর্টার : সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে করার দাবি জানিয়েছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাস গুপ্ত। গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। আসন্ন দুর্গাপূজায় ‘নিরাপত্তা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবনা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
রানা দাস গুপ্ত বলেন, শিগগিরই ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুইটি সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। সংখ্যালঘুদের ওপর বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন, হামলা, খুনসহ বিভিন্ন মামলার বিচার ওই ট্রাইব্যুনালে করতে হবে। যেন দ্রুততম সময়ে সেসব মামলার নিষ্পত্তি করা যায়। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ে সরকারের আলোচনার টেবিলেই কথা হয়, কিন্তু বাস্তবায়নের জায়গাতেই সমস্যা। সরকার চাইলেই দেশের সকল জনগণের নিরাপত্তা সম্ভব। সেটা নির্ভর করবে রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান আমলে ধর্মকে রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বাঙালিরা তা চায়নি। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭৫-এর পরবর্তী সময়ে দীর্ঘকাল এ দেশে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল তারা ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে। এ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নস্যাৎ করে দিয়েছে। এখনও দেশের জনগণের একটি বড় অংশ যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তারাই সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে।
ধর্মের নামে যারা মানবতার বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করছে তাদের বিরুদ্ধে মানসিকভাবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ঈদে তিন দিন ছুটির সাথে নির্বাহী আদেশে আরো বাড়তি ছুটি যোগ করা হয়। অথচ বাঙালির সার্বজনীন এই দুর্গাপূজায় একদিনের ছুটি। যেদিন ছুটি সেদিন পূজার সব আনুষ্ঠানিকতাই শেষ হয়ে যায়। তাই দুর্গাপূজাতেও তিন দিনের ছুটি এখন সার্বজনীন দাবি। এ সময় আরো বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ড. প্রভাস চন্দ্র রায়, মহাসচিব আনন্দ বিশ্বাস, মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে, ইসকন বাংলাদেশের সভাপতি সত্যরঞ্জন বাড়ৈ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন