ধসের তিন দিন পর গতকাল দুপুরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার ধসে যাওয়া সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের চলমান জরুরি সুরক্ষা কাজ পরিদর্শন করেছেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ, লে. কর্নেল সায়েম, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসন ও পাউবোর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
পানিসম্পদ সচিব এসময় বলেন, জরুরি প্রতিরক্ষা কাজের অংশ হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে জিওটেক্সে বালু ও বøক ফেলে ধস ও ভাঙন নিয়ন্ত্রণে পাউবোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া আগামীতে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পর্যন্ত সাড়ে ৮ কিলোমিটার অংশেই যমুনার তলদেশে ও বাঁধ ঘেষে ব্যাথেমেট্রিক সার্ভে করা হবে। শহর রক্ষার বাঁধের ঢালে যেসব স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হবে, সেসব স্থান চিহ্নিত করে প্রয়োজনে হার্ডরক ফেলে সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ধসের জন্য পানিসম্পদ সচিব বাঁধ নির্মাণকারী ২৫ বছর আগের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোরিয়ান হুন্দাই কোম্পানির ত্রæটিপূর্ণ কাজকে দায়ী করেছেন। গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্মাণের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হুন্দাই কোম্পানি থেকে বাঁধের স্থায়িত্বকাল বলা হয়েছিল একশ’ বছর। অথচ নির্মাণের মাত্র ১০ বছরের মাথায় ওই বাঁধে পর পর কয়েকবার ধস দেখা দেয়।
নকশায় ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজে ত্রæটি ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, তা না হলে কেন এভাবে বার বার ধস নামবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছে জানিয়ে বলেন, সিরাজগঞ্জ শহরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাঁধের ধস নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন