স্টাফ রিপোর্টার : আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিষ্কারের খবর অসত্য। মন্ত্রী বলেন, কানাডায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার ওই দেশের সাংবাদিকদের পাশাপাশি নূর চৌধুরীর আইনজীবীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। এছাড়া কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ডেস্কেও হাই কমিশনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে ওই সংবাদের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। গতকাল (শনিবার) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোতে এ রকম খবর পাওয়ার পরে আমাকে নিউ ইয়র্ক থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী (এ এইচ মাহমুদ আলী) ফোন করেছিলেন। আমাদের দু’জনের আলোচনার প্রেক্ষিতে এই খবরটার সত্যতা জানতে কানাডায় বাংলাদেশের হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং সেখানকার হাই কমিশনার জানান, এই সংবাদটি সর্বৈব অসত্য।
তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, যারা দ-প্রাপ্ত তাদেরকে আনার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদেরকে ফিরিয়ে না আনতে পারি। এটিই হচ্ছে বেস লাইন। এটার ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, বর্তমানে দু’জন দ-প্রাপ্ত আসামী নূর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরীর অবস্থান আমরা জানি। নূর চৌধুরী কানাডায় আছেন এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র আছেন। আমরা তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় ফেরত আনার ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, যখনই কানাডীয় সরকারের সাথে আমাদের কোন আলাপ আলোচনা হবে তখনই এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা হবে। এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা সফরে গিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি যতটুকু জানি আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তার মানে হচ্ছে আমরা তাকে ফিরিয়ে আনার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি সেটা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া চলবে।
তিনি বলেন, নূর চৌধুরীকে ফেরত আনার ব্যাপারে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা যেটা সেটা হচ্ছে কানাডীয় সংবিধানে বলা আছে যেসব দেশে মৃত্যুদ-াদেশ আছে সেখানে মৃত্যুদ- হতে পারে এমন আসামীকে ফেরত পাঠানো যাবে না। এই একটা পয়েন্ট এর উপরই কিন্তু নূর চৌধুরী সেখানে এখনো টিকে আছে। এই পয়েন্টার সুরাহা হলেই নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানো যাবে কি যাবে না সেটার সিদ্ধান্ত হবে।
রিজার্ভের অর্থ ফিলিপিন্সের কাছ থেকে ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়ায় যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে তা নিশ্চিত করতেই এ ঘটনায় সরকারের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যাংকের গভর্নরের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। সেজন্য আমরা খুব সতর্কতার সাথে সব বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি। যেহেতু চুরি যাওয়া অর্থে ফেরত পেতে একটা মামলা ফিলিপিন্সে চলছে, সেই অর্থটা ফেরত পাওয়াতে ব্যাঘাত ঘটে এমন কিছু আমরা হতে দিতে চাই না। সেই ক্ষেত্রে ওই (তদন্ত) রিপোর্টের আগে ওই মামলাটা নিষ্পত্তি হলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করেছি কয়েকটা দিন পরে এই রিপোর্ট পাবলিশ করলে দেশের স্বার্থ অক্ষুণœ থাকবে। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ও সার্চ কমিটি গঠন বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, অপেক্ষা করেন সবই জানতে পারবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন