শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বুড়িগঙ্গা নদী থেকে মামা-ভাগিনার লাশ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কেরানীগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নিখোঁজের চারদিন পরে মামা ভাগিনার লাশ উদ্ধার করেছে দক্ষিণ থানা পুলিশ। গতকাল (শনিবার) দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতরা হলো মামা সুব্রত কর্মকার (২৮) এবং ভাগিনা গৌতম চন্দ্র রায় (২৭)। নিহত সুব্রত কর্মকারের বাসা রাজধানীর ওয়ারীর ১৩নং উত্তর মৈসন্ডী এলাকায়। তার বাবার নাম মৃত সুনিল কর্মকার এবং ভাগিনা গৌতম চন্দ্র রায়ের বাসা রাজধানীর ওয়ারীর ৪৮ নং উত্তর মৈসন্ডী এলাকায়। তার বাবার নাম গোপাল চন্দ্র রায়। তারা দু’জনেই পেশায় ছিলেন ভিডিও ব্যবসায়ী।
নিহত গৌতম জন্দ্র রায়ের মামা লোকনাথ চন্দ্র রায় জানান, গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় পুরান ঢাকার লালকুঠি এলাকায় একটি বিয়ে বাড়িতে ভিডিও প্রোগ্রামের কাজ করতে বের হয়ে লালকুঠি ঘাট এলাকা থেকে সুব্রত কর্মকার ও গৌতম চন্দ্র রায় দুইজনেই এক সাথে নিখোঁজ হয়। তাদের সাথে চারটি ভিডিও ক্যামেরা ও মোবাইল ছিল। সন্ধ্যার পরে তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোনটি দুইটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন জায়গায় তাদের সন্ধান করে না পাওয়ায় বুধবার রাতেই নিহত গৌতমের বাবা গোপাল চন্দ্র রায় ওয়ারী থানায় একটি জিডি করেন। গতকাল (শনিবার) দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ কাউটাইল আইলা পাড়া এলাকা বরাবর বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার ভাগিনা গৌতমের লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে এসে তার ভাগিনার লাশ শনাক্ত করেন। কি কারণে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটানো হয়েছে সে ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি আরো জানান, কোন পূর্ব শত্রুতার জের অথবা তাদের সাথে থাকা দামী চারটি ক্যামেরার জন্যই হয়তোবা সন্ত্রাসীরা তাদেরকে হত্যা করে নদীতে রাতের আঁধারে ফেলে দিয়েছে। এদিকে গত শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শ্যামপুর বরাবর বুড়িগঙ্গা নদী থেকে মামা সুব্রত কর্মকারের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুরান ঢাকার নবাববাড়ি পুকুর পাড়ে গৌতমের একটি ভিডিওর দোকান ছিল। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ক্যামেরা অথবা অন্য কোন কারণে তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা নদীতে ফেলে যেতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন