করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনিতে লকডাউনের সময়সীমা আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের গভর্নর জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্যই লকডাউন বাড়ানো হয়েছে।
সিডনিতে প্রতিদিনেই করোনা রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন। শহরটিতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট। বুধবার ২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে সিডনিতে। তবুও এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় মাত্র ১০ শতাংশের কম মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। সিডনিতে স্থানীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ খুবই কম ছিল। এরপর হোটেলে ৮০ জনের বেশি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্রুর করোনা শনাক্ত হয়। পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছিল, ঠিক তখন হঠাৎ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ২৬ জুন শহরটিতে ‘বাড়িতে অবস্থান করুন’ আদেশ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু জরুরি কাজে বাড়ির বাইরে যেতে বাধ্য হওয়া কিছু লোক আক্রান্ত হলে স্থানীয় সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। এ প্রাদুর্ভাবে প্রায় ৩৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, যা চলতি বছর সিডনিতে সবচেয়ে বড় সংক্রমণের ঘটনা। বৃহত্তর সিডনি, ইউলংগং ও সেন্ট্রাল কোস্ট এলাকার ৫০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা ‘বাড়িতে অবস্থান করুন’ আদেশের অধীনে আছেন। এই বিধিনিষেধ শুক্রবার (৯ জুলাই) তুলে নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা ১৬ জুলাই পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে স্কুলও বন্ধ থাকবে। নিউ সাউথ ওয়েলস সরকার বলেছে, লকডাউনের কারণে পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যে ‘চাপ ও যাতনা’ ভোগ করছে তা বুঝতে পারছেন তারা।
এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ১০ শতাংশেরও কম নাগরিকের করোনাভাইরাস টিকা নেয়া সম্পন্ন হয়েছে। সরবরাহে ঘাটতির কারণে দেশটির অনেক নাগরিকই চলতি বছরের শেষ মাসগুলোর আগে টিকা নেয়ার সুযোগ পাবেন না। গেলো ২৬ জুন থেকে লকডাউন চলছে সিডনি শহর জুড়ে। এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৯১০ জন মানুষ মারা গেছে, আক্রান্ত হয়েছে ৩১ হাজার মানুষ। সূত্র: ইউকে স্ট্যান্ডার্ড।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন