খুলনায় উদ্ধারকৃত ১ হাজার ৫১৬ মেট্রিক টন খাওয়ার অযোগ্য চালের মালিক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এনসিসিএফ। ম্যাংঙ্গো লাইন শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে নৌপথে ওই চাল রূপসার খান মেজর রাইস মিলে এসে পৌঁছায়। র্যাব-পুলিশের তদন্ত এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় মহানগরীর লবণচরা গেট সংলগ্ন খান মেজর রাইস মিলে জেলা প্রশাসন, র্যাব ও খাদ্য অধিদপ্তর যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ওই চাল জব্দ করে। উদ্ধারকৃত চালের মূল্য ছয় কোটি টাকা।
র্যাবের সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাল মিলের গোডাউন থেকে বের করার সময়ে জব্দ করা হয়। জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেতু কুমার বড়ুয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন। র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়ার সহকারি পরিচালক মো. বজলুর রশীদ জানান, এ চাল উদ্ধারের পর মাহমুদ আলম খানের মালিকানাধীন খান মেজর রাইস মিল সিলগালা করা হয়েছে। আমদানিকৃত চাল খাদ্য অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই রাসায়নিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই বাজারজাত করা হয়েছে। র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় জানানো হয়, রাসায়নিক পরীক্ষা ছাড়াই ১৫ ট্রাক চাল মিল থেকে বের করে বাজারজাত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের ম্যজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময়ে সহকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক (মংলা) ও র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র জানায়, মিলের মালিক খান কামরুল ইসলাম ফেব্রুয়ারি মাসে ইন্তেকাল করার পর তার পূত্র মাহমুদ আলম খান ওরফে বাবুর মালিকানায় মিলটি পরিচালিত হচ্ছে। গত ৩০ জুন লাইসেন্স নবায়নের নির্ধারিত দিনে ফিস না দেওয়ায় খাদ্য অধিদপ্তর খান রাইস মিলের লাইসেন্স বাতিল করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। মিলের মালিক মাহমুদ আলম খান জানান, জুন ও জুলাই মাসের জন্য এক লাখ টাকা ভাড়ার চুক্তিতে ওই চাল মিলে রাখা হয়। মিলটি সিলগালা করার কথা তিনি স্বীকার করেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন বলেন, গুদামের নিম্নমানের চাল পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা জন্য মংলার সহকারি নিয়ন্ত্রক (খাদ্য) মো. জহিরুল ইসলাম ও খাদ্য ও চলাচল সংরক্ষণ কার্যালয়ের পরিবদর্শক অনিন্দ কুমার দাসের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১২ জুলাই সোমবারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন