বিদ্যমান কঠোর বিধিনিষেধে সীমিত পরিসরে বিচারিক আদালতের বিচার কার্যক্রম চালু রেখে ৩০ জুন জারি করা সার্কুলারের কার্যকারিতা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সে অনুযায়ী বিচারিক আদালতে কর্মরত সকল বিচারক,সহায়ক আদালত কর্মচারি কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। এ আদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার আদেশ সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে গত বুধবার একটি অফিস আদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মো.আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অধস্তন আদালত/ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে,সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রত্যেক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী জেলা-মহানগরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন। এতে আরও বলা হয়, আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুকে উক্ত সময়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে উপস্থাপন করা যাবে।
‘দ্য নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্টস অ্যাক্টস,১৮৮১-সহ যেসব আইনে মামলা/আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত আছে, সেসব আইনের অধীনে মামলা/আপিল শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম শুরুর ৭ দিনের মধ্যে তামাদির মেয়াদ অক্ষুন্ন গণ্যে দায়ের করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওই সময়ে অধস্তন আদালতে কর্মরত সব বিচারক এবং আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন