শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

আফগান সরকারকে না জানিয়ে মার্কিনীদের বাগরাম ঘাঁটি ত্যাগে তীব্র সমালোচনা

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২১, ১০:৫৬ পিএম

কাউকে কিছু না বলে রাতের অন্ধকারে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি ত্যাগ করায় তীব্র সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মার্কিন সেনাদের এমন শোচনীয় অবস্থা নিয়ে সরব প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই আফগান সরকারকে না জানিয়ে মার্কিনীদের এভাবে বাগরাম ঘাঁটি ত্যাগের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বাগরাম ছিল পশ্চিমা সেনাদের অন্যতম প্রধান ও শক্তিশালী ঘাঁটি। এই ঘাঁটি থেকে রাতের বেলা কাউকে কিছু না জানিয়ে সেনা প্রত্যাহারে মার্কিনীরা বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছে। মার্কিন সেনারা চলে যাওয়ার পর বাগরাম ঘাঁটিতে থাকা একটি কারাগারে বন্দি পাঁচ হাজারের বেশি তালেবান চলে গেছে। এর ফলে তালেবানের শক্তি আরও বেড়ে গেছে বলে বলা হচ্ছে।

আহমাদ সাকি মার্কিনীদের সমালোচনা করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘আফগানদের ইতিহাস বলে এ অঞ্চলে বাহিরের কেও কখনোই তাদের শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারেনি। আজকের আধুনিক এই সময়েও এটা প্রমাণিত। আফগানদের মত দরিদ্র একটা জাতির সামনে বিশ্ব পরাশক্তি আমেরিকা এতো কিছু করেও টিকে থাকতে পারেনি। আফগানে আক্রমণ আমেরিকার ঐতিহাসিক ভুল ছিল। মার্কিনীরা এখান থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই। শক্তি প্রদর্শন করতে এসে কোন রকমে বেচে যাওয়ার সর্বশেষ মাধ্যম ছিল এটিই, রাতের আধারে পালিয়ে যাওয়া।’’

মোঃ মনির হোসেন লিখেছেন, ‘‘বিলিয়ন বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে এভাবে আফগান ছেড়ে যাওয়া টা আমেরিকার জন্য বড় লজ্জার! তবে আমেরিকা আফগান জাতীর যেই ক্ষতি করেছে এসব দিক বিবেচনা করলে অবশ্য আমেরিকা জিতেছে। তাঁরা তাদের কার্য হাসিল করে পরেই আফগান ছেড়েছে।’’

পেয়ার আলী লিখেছেন, ‘‘ইতিহাস চক্রাকারে ঘুরতে থাকে৷ এটাই বোধহয় ইতিহাসের নিয়ম৷ সোভিয়েত আমলে সোভিয়েত বাহিনী আফগান ছেড়ে যাওয়ার সময় আফগান সরকারী বাহিনীকে কয়েক টাকার বিনিময়ে তালেবানের কাছে বিক্রি করে (তুলে) দিত৷ আজকে আফগান সরকারী বাহিনী একই পরিণতি ভোগ করতে চলেছে! মাত্র ৩০ বছরের ব্যবধানে ইতিহাসের পুনঃবৃত্তি! এ থেকে সাম্রাজ্যবাদী দালালদের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ...।’

রুমন আহমেদ লিখেছেন, ‘‘ইতিহাসে পড়েছিলাম আফগানরা বীরের জাতি। সত্যিই ওরা রক্ত মজ্জায় মিশে আছে বীরত্ব! না হলে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী এভাবে লেজগুটিয়ে চুরের মতো রাতের আঁধারে পালাতো না!’’

আবু জুনায়েদ মো. আসিফ লিখেছেন, ‘‘বিশ্বের তথাকথিত সুপারপাওয়ার বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার খরচ করেও শুধু মাত্র আফগানিস্তান দখল করতে পারলো না। ভাবুন একবার পুরো মুসলিম উম্মাহ এক হলে কি হবে? ইন শা আল্লাহ সেই দিন আসবেই।’’

হাসিন ফাইয়াজ নুর লিখেছেন, ‘‘আল্লাহর উপর ভরসা যারা রাখে তাদের জয় আসবেই। আফগানিস্তানকে বলা হয়, সাম্রাজ্যবাদীদের কবর। সেই আলেকজান্ডার থেকে শুরু করে, সোভিয়েত, ব্রিটিশ, আমেরিকা কেউই ঠিকতে পারেনি এই মাটিতে।’’

সজিব হোসাইন জয় লিখেছেন, ‘‘তালেবানের ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে অবাক হয়ে যাই,এরা সোভিয়েত ইউনিয়ন, আমেরিকা, ন্যাটো, নিজ দেশের বিশাল সেনাবাহিনী সবাইকে পরাস্ত করলো কিন্তু এদের বলার মত কোন সামরিক শক্তি নেই। কিভাবে পারলো এরা "!সত্যিই অবাক করার মত।’’

অ্যাডঃ এস এম শাজনুর লিখেছেন, ‘‘ওরা আসার সময় কি কারো অনুমতি নিয়ে এসেছিলো, তাই চলে যাবার সময় কাউকে বলার প্রয়োজন মনে করে নাই। আর জানালে বিপদ আছে, শুনেছি তালেবানরা নাকি দখলদারদের ধরে তাদের কাচা মাংস খায়।’’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
আখতার ৮ জুলাই, ২০২১, ১১:১৫ পিএম says : 0
সবাই সবার কাজ করেছে। সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের কাজ করেছে। মুদসুদ্দী বা কম্প্রেডর ক্লাস পুতুল সরকারের ভূমিকা পালন করেছে। আর বীর আফগান জাতি তাদের খোদার উপর ভরসা রাখার প্রমাণ দিয়েছে। আমি মনে করি যার দেশ সেই শাসন করুক। শুধু আফগান নয় পুরো মধ্যপ্রাচ্য থেকেই পরাশক্তিদের চলে গেলেই কেবল মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসবে। নচেৎ অশান্তি তৈরি করে শান্তি প্রতিস্ঠার নামে অস্ত্র বিক্রি ব্যাবসা, যুদ্ধের শিল্পায়ন, রিসোর্স এ্যাকুমুলেশন বাই ডিস্পজেশন এর মাধ্যমে সম্পদ চুরি করে নিজ দেশে নেয়া ছাড়া কিছুই হবে না।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন