বাজারে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে কিছুটা কম দামে টিসিবির পণ্য কিনতে ভিড় করছে মানুষ। রাজধানীতে লকডাউনের মধ্যে টিসিবির ট্রাকে দীর্ঘ লাইন দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে শত শত ক্রেতা পণ্য কিনছে। ক্রেতাদের চাহিদার চেয়ে টিসিবির পণ্যের পরিমাণ কম থাকায় লাইনে দাড়িয়েও অনেকে পণ্য কিনতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
টিসিবির পণ্য কেনার দীর্ঘ লাইনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। গাদাগাদি করে একে অন্যের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। পণ্য বিক্রেতারা বলছেন, তারা অনেক বলেও লোকজনদেরকে মানাতে পারছেন না। সবাই গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে জিনিস কিনছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়টি না দেখার ভান করে দূরে সরে যাচ্ছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় টিসিবির পণ্য বিক্রেতা নাসির জানায়, করোনাকালে মানুষের চাহিদার তুলনায় টিসিবির পণ্য কম সরবরাহ করা হচ্ছে। তাদের প্রতিদিন মাত্র ২০০ জনের পণ্য দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু ক্রেতা কমপক্ষে তিন চারগুণ অর্থাৎ সাত থেকে আটশ’ জনের দীর্ঘ লাইন থাকে। ফলে যারা সিরিয়ালে আগে থাকেন তারা পণ্য কিনতে পারেন।
ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, টিসিবির পণ্যের ট্রাক সময়মতো আসে না। সকাল ৯টা থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও দুপুরের আগে ট্রাক আসে না। অসংখ্য নারী ও পুরুষ সকাল থেকেই লম্বা সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষা করে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজেও অপেক্ষার প্রহর যেন তাদের ফুরায় না।
ট্রাক থেকে ক্রেতারা চিনি ৫৫ টাকা কেজি (একজন সর্বোচ্চ চার কেজি), প্রতিকেজি মসুর ডাল ৫৫ টাকা (সর্বোচ্চ দুই কেজি) এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা করে (দুই থেকে সর্বোচ্চ ৫ লিটার) কিনতে পারছেন।
করোনা মহামারি ও সারা দেশে চলমান লকডাউনে ভোক্তাদের অপেক্ষাকৃত কম দামে পণ্য দিতে ৫ জুলাই থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। আগামী ২৯ জুলাই (ঈদুল আজহার ছুটি ব্যতিত) পর্যন্ত পণ্য বিক্রি প্রতিদিন চলবে। টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, মহানগরসহ সারা দেশে টিসিবির ৪৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৮০টি ও চট্টগ্রাম সিটিতে ২০টি ট্রাক রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মহানগর ও জেলা শহরেও ট্রাকসেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে দৈনিক ৬০০-৮০০ কেজি চিনি, ৩০০-৬০০ কেজি মসুর ডাল এবং ৮০০-১২০০ লিটার সয়াবিন তেল বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন