চবি সংবাদদাতা : ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শিডিউল কেনা ঠেকাতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চালানোর অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এছাড়া শিডিউল কিনতে আগ্রহী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে হুমকি দেয়ার অভিযোগও উঠেছে সংগঠনটির দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মুহুর্মুহু শোডাউনের ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা অনুষদ ভবন ও শেখ হাসিনা হলের সম্প্রসারণ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করে প্রকৌশল বিভাগ। গতকাল সোমবার ছিল শিডিউল কেনার সময়সীমা। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা ক্যাম্পাসের রেল স্টেশন, দুই নং গেট, পরিবহন দপ্তর মোড় এবং প্রকৌশল দপ্তরের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় শিডিউল জমা দিতে আসা বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিডিউল জমা দিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা শিডিউল কিনতে গেলে গত রবিবার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাধায় কিনতে পারিনি। হুমকি দিয়ে বের করে দেয়া হয়েছে আমাদের।’
এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের তল্লাশির নামে হয়রানির অভিযোগও পাওয়া গেছে। এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন খোদ ছাত্রলীগ নেতারাই। ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘শিডিউল কিনতে আসা সন্দেহে সাধারণ শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের তল্লাশি করেছে বিশ^বিদ্যাল ছাত্রলীগ। এ ধরনের ঘটনা ইতোপূর্বে আমরা শুনিনি।
শিডিউল কেনায় বাধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজন এ ব্যাপারে বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী শিডিউল কেনায় বাধা দেয়নি। এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
এদিকে শিডিউল কেনা সংক্রান্ত বিরোধের কারণেই গত রোববার অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ^বিদ্যালয় অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছিল ছাত্রলীগ বিদ্রোহী একাংশ। তবে সোমবার সারাদিন তাদের কোনো ধরনের তৎপরতা চোখে পড়েনি।
বিশ^বিদ্যালয় প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় শত কোটি টাকার দুটি কাজের দরপত্রের আহ্বানের বিপরীতে মাত্র ছয়টি শিডিউল বিক্রি হয়েছে। উভয় কাজের তিনটি করে শিডিউল বিক্রি হয়েছে। আজ দুপুর বারোটায় শিডিউল খোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ হোসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন