মালিকের অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ
টঙ্গী থেকে মো. হেদায়েত উল্লাহ : টঙ্গীর বিসিক এলাকার ট্যাম্পাকো ফয়েল’স কারখানার ধ্বংসস্তূপ থেকে গতকাল সোমবার আরো তিন শ্রমিকের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। কারখানার মূল ভবনের ধ্বংসাবশেষ অপসারণের সময় সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা সকাল সাড়ে ১১টায় দুইজন এবং দুপুর ১টায় একজনসহ মোট ৩ জনের কঙ্কাল উদ্ধার করেন। টঙ্গী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানিয়েছেন। উদ্ধারকৃত কঙ্কালগুলোর পরিচয় তাদের সাথে থাকা আইডি কার্ড থেকে প্রাথমিক ভাবে সনাক্ত করা হয়। একজন কারখানার মেশিন অপারেটর ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার ভিমনগর গ্রামের চুন্নু মোল্লা (২১), তার পিতার নাম মোজাম মোল্লা। দ্বিতীয়জন ছিলেন কারখানার সিনিয়র অপারেটর চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার পলাখান গ্রামের নাসির পাটোয়ারি। তার পিতার নাম ইউসুফ পাটোয়ারী। আরেকজন প্রিন্টিং অপারেটর সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থানার জিগার বাড়িয়া গ্রামের আনিসুর রহমান (৩০)। তার পিতার নাম সুলতান গাজী। এ নিয়ে ট্যাম্পাকোতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪০ জনে। এর মধ্যে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করায় পথচারি আসমা নামে এক মহিলা শ্রমিকের নাম জেলা প্রশাসনের করা মৃতের তালিকায় নেই। জেলা প্রশাসনের তালিকা মতে গতকালের ৩ জনসহ ট্যাম্পাকো দুর্ঘটনায় ৩৯টি মৃতদেহ লাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ জনের পরিচয় সনাক্ত হয়েছে। অজ্ঞাত হিসেবে মর্গে আছে ৭টি লাশ। গতকাল উদ্ধারকৃত ৩টি কঙ্কালও ময়না তদন্ত ও ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের সর্বশেষ হিসাব মতে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এক জন।
উলেখ্য, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী বিসিক শিল্প এলাকায় সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ) আসনের দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য ড. সৈয়দ মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন ট্যাম্পাকো ফয়েল’স কারখানায় ১০ সেপ্টেম্বর সকালে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিষ্ঠানটির চারটি ভবনের তিনটি ধসে পড়ে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।
মালিকের অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ
অপরদিকে হতাহতের ঘটনায় ওই কারখানার মালিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন আদালত। সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে দুর্ঘটনায় হতাহতদের কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শরীফ ভূঁইয়া ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন। মালিকপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন