বিশেষ সংবাদদাতা : ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও নিম্নাঞ্চলের মানুষের মাঝে নতুন করে বন্যার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, এই পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রর তথ্যানুযায়ী, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী, ধরলা, দুধকুমার, তিস্তা, যমুনেশ্বরী, করতোয়া, পুনর্ভবা, টাংগন, মহানন্দা, ইছামতি, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নদীর পানি আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও বাড়বে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে এসব নদীর ভাঙ্গনও তীব্র হয়েছে। এছাড়াও মনু, মাতামুহুরি, ফেনী, চুঁনকুড়ি, গড়াই ও সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনও বেড়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, পর্যবেক্ষণাধীন ৯০টি স্টেশনের মধ্যে ৪৭টি স্থানে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, ৩৯টি স্থানে পানি হ্রাস পেয়েছে, ৩টি স্থানে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং ১টি স্থানের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, গতকাল (সোমবার) হঠাৎ করে ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বাড়ায় নীলফামারীর ডালিয়ায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি সøুইস গেইট (কপাট) খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে চরাঞ্চলগুলো।
একইভাবে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। অতি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে হঠাৎ করেই এই দুই নদীর পানি বৃদ্ধি পায় এবং নিম্ন¥াঞ্চল প্লাবিত হয়।
জানা গেছে, ভারতের আসাম, মনিপুর, মিজোরাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরাতে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানকার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই পানি গড়িয়ে দ্রুত বাংলাদেশের দিকে আসছে। বিশেষ করে আসাম ও মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি বাড়ছে। একইভাবে আসাম ও ত্রিপুরায় বৃষ্টিপাতের কারণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুরমা, কুশিয়ারা, মনু ও খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন