শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারতে তৈরি টিকা নিলে ছাড় দেবে না ইউরোপ, ব্রিটেনেও আপত্তি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২১, ৪:৪২ পিএম

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও টিকাপ্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার করোনা প্রতিষেধকটিকে ‘কোভিশিল্ড’ নামে তৈরি করেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। কিন্তু অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার টিকাকে ছাড়পত্র দিলেও কোভিশিল্ড নিয়ে আপত্তি তৈরি করছে খোদ ব্রিটেন। একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের যে সব নাগরিক কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তাদের ইউরোপে পর্যটনে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর টিকা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি’ (ইএমএ) জানায়, তারা কোভিশিল্ডের জন্য বাণিজ্যিক ছাড়পত্রের আবেদন পায়নি। তাই তারা প্রতিষেধকটিকে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্রের অনুমোদন দিচ্ছে না। এর পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন টুইট করেছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৫টি দেশ অনুমোদন দিচ্ছে কোভিশিল্ডকে। সেই টুইটটিকে হাতিয়ার করে ইইউ-র সঙ্গে আলোচনায় বসে ভারত।

ইইউ এই পর্যন্ত ছাড়পত্র দিয়েছে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং জনসন অ্যান্ড জনসন-এর কোভিড প্রতিষেধককে। জার্মানির ‘কিওরভ্যাক’ এবং রাশিয়ার ‘স্পুটনিক ভি’, চীনের ‘সিনোভ্যাক’ নিয়ে আলোচনা চলছে।

ব্রিটেনের টিকা নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এমএইচআরএ) আগে ছাড়পত্র দিয়েছিল কোভিশিল্ডকে। দেশটির পরিবহণমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেছিলেন, যারা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন, তাদের পর্যটনে বাধা দেয়া হবে না। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখেও একই কথা শোনা যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ভারতীয় সংস্করণটি নিয়েছেন, তাদের কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু রিপোর্টে এর অন্যথাই হতে দেখা যাচ্ছে।

টিকা নিয়ে এই বিতর্কের মাঝে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। ব্রিটেন, স্পেন, ইটালিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির আঁচ মিলেছে। এদিকে, আমেরিকার জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, দেশের ৪৬টি প্রদেশে সংক্রমণ অন্তত ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। কিছু প্রদেশে এই হার ৫০ শতাংশেরও বেশি। আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টিতে গত মাসে সংক্রমণ বেড়েছে ৫০০ শতাংশ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও কিছু অঞ্চলে টিকাকরণ নিয়ে বাসিন্দাদের অনীহা কাটছে না।

আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় এপিডিমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচি বলেন, ‘এ ভাবে টিকাকরণ থমকে থাকলে, বড়দের ভুলের দাম দিতে হবে ছোটদের।’ বিশেষজ্ঞেরা বারবারই বলছেন, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ছোটরা। কারণ স্পষ্ট, এরা ভ্যাকসিন পায়নি। টিকাহীন শরীরে জাঁকিয়ে বসবে ভাইরাস। আঁচ মিলতে শুরু করেছে এখনই। মিসিসিপিতে যেমন, সাতটি শিশু আইসিইউয়ে রয়েছে। সঙ্কটজনক অবস্থায় ২টি শিশু ভেন্টিলেটরে। সূত্র : এবিপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মাজহারুল কাদের ১৫ জুলাই, ২০২১, ৫:৩০ পিএম says : 0
একমাত্র মহান আল্লাহ তা'লার কাছে ক্ষমা চেয়ে উনার ক্ষমার আওতায় আসতে পারলেই করোনার এই মরন ছোবল থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। আসুন আল্লাহর দরবারে বেশী বেশী তওবা করি - গোনাহ মাপের ফরিয়াদ করি। আমীন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন