শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

পাকিস্তানের উদ্যোগে আফগান পরিস্থিতি নিয়ে ৩ দিনের বৈঠক

আফগানিস্তানে ব্যাপক সংঘর্ষ অব্যাহত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

গত মে মাসের শুরু থেকেই আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। এরপর থেকেই শক্তি পেয়ে যায় তালেবানরা। তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের নতুন নতুন এলাকা নিজেদের কব্জায় নিতে শুরু করে। বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে তাদের এই গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে প্রতিবেশী অনেক দেশ। এর মধ্যে পাকিস্তান একটি কূটনৈতিক উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ভয়েস অব আমেরিকা। ইসলামাবাদের উচ্চ পদস্থ সরকারি সূত্রগুলো বুধবার বলেছেন, পাকিস্তানের উদ্যোগে ওই কনফারেন্স হওয়ার কথা রয়েছে ১৭ থেকে ১৯ শে জুলাই। এতে যোগ দেয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন আফগানিস্তানের বেশ কিছু নেতা।

আফগানিস্তানের পাকিস্তান বিষয়ক প্রেসিডেন্সিয়াল বিশেষ দূত মোহাম্মদ উমর দাউদজাই এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী ওমর জাখিলওয়াল নিশ্চিত করেছেন তারা বৈঠকে যোগ দেবেন। তবে বৈঠকের সময় নিয়ে আলোচনা চলছে। সূত্র বলেছেন, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালাহউদ্দিন রাব্বানি, সাবেক অর্থমন্ত্রী ওমর জাখিলওয়াল, হাজারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সিনিয়র নেতা মোহাম্মদ মোহাকিক, সাবেক যুদ্ধবাজ থেকে রাজনীতিক গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার এবং আহমেদ ওয়ালি মাসুদকে। এসব আমন্ত্রিত নেতাদের অনেকে আবার কাতারের রাজধানী দোহার আলোচনায় যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে আফগানিস্তানের জাতীয় পুনরুজ্জীবিতকরণ বিষয়ক পরিষদের প্রধান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর নেতৃত্বে তালেবান নেতাদের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলেছেন, আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আঞ্চলিক দেশগুলো উদ্বিগ্ন। তারা সম্মিলিতভাবে আফগানদেরকে একটি সমঝোতায় আসার জন্য চাপ দিচ্ছেন, যাতে তারা সবার অংশগ্রহণমূলক একটি রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছেন। আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া প্রতিরোধে এটা প্রয়োজন। আফগানিস্তানে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত মানসুর খান বলেছেন, আফগানিস্তানের সব পক্ষের সঙ্গে তার দেশ শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে যোগাযোগ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আফগান সরকার এবং তালেবানরাও। তিনি ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, আমরা ইতিবাচক উপায়ে আমাদের প্রভাব ব্যবহার করে গঠনমূলকভাবে যুক্ত হয়েছি। আফগানিস্তান পরিস্থিতি সমাধানের একখানা প্রেসক্রিপশন আমরা ধরিয়ে দিতে পারি না এবং উচিতও না।

এদিকে, আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গজনি এবং কান্দাহার শহরের বিভিন্ন স্থানে তীব্র লড়াই চলছে। ২৪ ঘণ্টায় তালেবান বামিয়ান প্রদেশের সায়ঘান জেলা, গজনির মালিস্তান, ফারাহ প্রদেশের পুর চমন এবং খোস্ত প্রদেশের মুসা খেলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এসময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযানে তালেবানের ২৬১ জনকে হত্যার দাবি করেছে। বুধবার আফগানিস্তানের গণমাধ্যম টোলো নিউজ এ তথ্য জানায়। এদিকে বামিয়ান প্রদেশের সাজ্জাদ ফলাদি নামের এক বাসিন্দা বলেন, সায়ঘান এবং কুমার্দ জেলা দখল হয়ে গেছে। মানুষ এটা নিয়ে বেশ চিন্তিত। বামিয়ানের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহাম্মদ রেজা ইব্রাহিম বলেন, বামিয়ানের প্রায় ২০ হাজার পরিবার অন্যান্য জেলায় আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে গজনির প্রাদেশিক কাউন্সিলের সদস্য গোলাম হোসেন বলেন, গজনির পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়। শত্রুরা আবাসিক এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। অপরদিকে কান্দাহারের অধিকারকর্মী মুহাম্মদ ওসমান বলেন, শহরের অভ্যন্তরে যুদ্ধ লেগে গেছে। বহু জেলা দখলে নিয়েছে তালেবান। ভিওএ, টোলো নিউজ।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
MD Faruk Hossain ১৬ জুলাই, ২০২১, ৩:১৪ এএম says : 0
ইনশাআল্লাহ আবারও শান্তি ফিরে আসবে মাথা উচু করে দাঁড়াবে এটা একটা মানব জাতির জন্য শিক্ষা ধৈর্য ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করলে বিজয় নিশ্চিত তাদের ইমান মজবুত এ জন্য আফগানিস্তান ছেড়ে যাবার মতন কোনো ব্যাখা নেই আমেরিকার কাছে
Total Reply(0)
Rofiqulislam Rocky ১৬ জুলাই, ২০২১, ৩:১৪ এএম says : 0
এই দরিদ্র দেশে আমেরিকা যুদ্ধ করে কতটুকু লাভবান হয়েছে, শুধু কত নিরপরাধ লোকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এর হিসাব দিতে হবে
Total Reply(0)
Eht Enayat ১৬ জুলাই, ২০২১, ৩:১৪ এএম says : 0
এই সব কিছুর জন্য দায়ী একমাত্র আমেরিকা যে এক নম্বর সন্ত্রাসী। তালেবানরা কি কারো ক্ষতি করত নাকি মানুষের অধিকার বুঝিয়ে দিত।তালেবান বড়লোক গরিব সবাইকে সমান চোখে দেখত সবার সমান বিচার করত।তালেবান সরকারের দ্বারা কারো কোন জান মালের ক্ষতি হত না
Total Reply(0)
Saiful Alom Nazrul ১৬ জুলাই, ২০২১, ৩:১৫ এএম says : 0
বিশ্বে যতটা দেশ যুদ্ধ বিধস্ত তার সব ক'টিতেই রয়েছে আমেরিকার কুদৃষ্টি
Total Reply(0)
Mohammad Yunus ১৬ জুলাই, ২০২১, ১১:৪৩ এএম says : 0
I urnest request to all the leaders of any group in Afganistan please resolve the enmity in yourselves and go ahead for better Afganistan. Otherwise all of you have to be stand in front of ALLAH as a guilty IN THE DAY OF JUDGEMENT.
Total Reply(0)
Md. Abdul Matin ১৬ জুলাই, ২০২১, ১:০৩ পিএম says : 0
আফগানিস্তানের মানুষ যুগ যুগ ধরে বিদেশী হানাধারদের কবলে কষ্ট করে আসছেন । এখনও করছেন । বৃটিশ, রুশ, মার্কিন সবই বিদায় হল । আফগান ভাইবোনেরা এখন কি একটু শান্তিতে ঘুমোতে পারবেন? চরম দারিদ্র্য থেকে তাদের অবস্থার কি আদৌ কোন পরিবর্তন হবে? এখন দেখছি নিজেদের মধ্যে দিভিল ওয়ার! তালেবান কে অস্ত্র দিবে পাকিস্তান আর আশ্রাফ ঘানি কে ভারত । চলুক যুদ্ধ । নিরীহ আফগানরা ভোগ করুক আরও ২০ বছর! ঘানী ও তালেবান দুই বিবদমান দল নিজেদের ইগো ভুলে শান্তির জন্যে কাজ শুরু করুক - এই আশা করি । দুই দলের চিন্তার-চেতনার মধ্যে রয়েছে ব্যাপক ফারাক । বলা যায় আমাদের দেশের বাম আর হেফাজত! তারাও তাই। একদল সর্ট পোশাক আর একদল আপাদমস্তক বোরকা । যাই হোক - এমন অনেক দেশেই আছে । কিন্তু তারাও সহাবস্থান করে দেশের উন্নতি করছে । উদাহরণ হিসাবে মাল্যেশিয়ার কথা বলা যায় । তালেবান কে উগ্র চিন্তা বাদ দিতে হবে । ইসলাম ধর্মের সারবত্তা সঠিকভাবে ধারণ করতে হবে । আর ঘানী দল কে নিজেদের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে ভুলে গেলে চলবে না । আর নয় । শান্তি চাই ই চাই । ব্যর্থ হলে আফগানদের ধ্বংস অনিবার্য ।
Total Reply(1)
Mohammad Yunus ১৬ জুলাই, ২০২১, ৩:৫১ পিএম says : 0
Perfect comment at the perfect time.Thanks this comment.
bc ২১ জুলাই, ২০২১, ৩:৫২ এএম says : 0
thank you
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন