আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। গত বছরের চেয়ে এবার সব ধরনের চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে। ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। গত বছর যা ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর যা ছিলো ২৮ থেকে ৩২ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত জুম প্ল্যাটফর্ম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় ব্যবসায়ীরা কোরবানির পরপরই দ্রুত চামড়ায় লবণে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার তাগিদ দেন। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। গত বছর যা ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর যা ছিল ২৮ থেকে ৩২ টাকা। গরুর চামড়ার ক্ষেত্রে গত বছরের চেয়ে দাম বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়ার দাম ১৫ থেকে ১৭ টাকা। গত বছর যা ছিল ১৩ থেকে ১৫ টাকা। এক্ষেত্রে গত বছরের চেয়ে দাম বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি বকরির চামড়ার দাম নির্ধরণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা। গত বছর যা ছিল ১০ থেকে ১২ টাকা। এক্ষেত্রেও দাম বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত বছর এক্সপোর্ট ট্রেডটা ভালোই হয়েছে। সব দিকে প্ল্যান করেই আগাতে হবে। সবার একটাই ইচ্ছা যেন চামড়ার ন্যায্য মূল্য পায়। আমরা কাচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়েছি, এটি খুব একটা স্বস্তির নয়। যেহেতু দেশে দাম পাওয়া যাচ্ছে না, তাই রপ্তানির অনুমতি দিয়েছি। এটা স্থায়ী হোক সেটা আমি চাই না। এবার সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কোরবানির ছয় ঘণ্টার মধ্যে চামড়ায় পর্যাপ্ত লবণ দিতে হবে।
সভায় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ২০১৭ সালে চামড়ার যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটি পুনরায় করার প্রস্তাব দেন। পরে ব্যবসায়ীরা তার সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানান। এরপর ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবনা মেনে নিয়ে পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। পরে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বাণিজ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত চামড়ার দাম মেনে নেওয়ার কথা জানানো হয়। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন