গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জুমার সমর্থকরা। তার মুক্তির দাবিতে সরকারি স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এখনও বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে রাস্তায় অবস্থান করছে তারা। কাওয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের মেয়রের তথ্যমতে, সেখানকার দোকানগুলোতে লুটপাটের কারণে আনুমানিক ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য চুরি হয়েছে। সংঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়া বন্দরনগর ডারবানের এথিকউইনি পৌর এলাকায় এক অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসা বলেন, তিনি কোনোভাবেই এ ধরনের ‘বিশৃংখলা ও নৈরাজ্য’ সহ্য করবেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভে নিহত হয়েছেন ২১২ জন। এদিকে বিক্ষোভের জেরে অন্তত দুই হাজার ৫৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষুদ্র ব্যবসা উন্নয়নমন্ত্রী খুমবুদজো নাতশাভেনি বলেন, ২১২ জনের মধ্যে ১৮০ জন মারা গেছে শুধু কাওয়াজুলু-নাতাল প্রদেশে। বাকি ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে গাউটেং প্রদেশে। এক সংবাদ সম্মেলনে খুমবুদজো বলেন, সহিংস বিক্ষোভ এবং লুটপাট শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৫৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার ৬৯২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে কাওয়াজুলু-নাতাল থেকে আর বাকি ৮৬২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে গাউটেং থেকে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত বলে দাবি করেছেন এ মন্ত্রী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামানো হয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীকে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে কারাগারে পাঠানোর পর থেকে তার মুক্তির দাবিতে দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে বিক্ষোভ শুরু হয় জ্যাকব জুমার এলাকা কাওয়াজুলু-নাতাল থেকে। পরে তা জোহানেসবার্গেও ছড়িয়ে পড়ে। জ্যাকব জুমার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে শপিং মলে আগুন দেওয়া-ভাঙচুর চালানো হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গাড়ি এবং ট্রাক। ২৯ জুন জুমাকে ১৫ মাসের কারাদন্ড দেন আদালত। ৭৯ বছর বয়সি জুমার বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতির তদন্তকারীদের তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সহযোগিতা না করায় তাকে এ দন্ড দেওয়া হয়। এরপর ৭ জুলাই জ্যাকব জুমা আত্মসমর্পণ করেন। আনাদোলু, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন