ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীকে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোর চক্রের সদস্যরা। এদের গ্রেফতার এবং তথ্য সংগ্রহ করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এরই মধ্যে অর্ধশত চোরের দল সক্রিয় থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ঈদে রাজধানী ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায়। ফাঁকা শহরে বেড়ে যায় চুরি। এমনই একটি চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। গত শনিবার কোতোয়ালী, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা লালবাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের এসি মধুসূদন দাস বলেন, চোরচক্রের সদস্যরা হলো- রাসেল, মো. শিপন মৃধা, মো. আল আমিন, মো. মতিউর রহমান ওরফে মেহেদী হাসান, মো. নাসির শেখ, মো. দ্বীন ইসলাম, মো. আমির হোসেন ওরফে বেপারী ও মো. ইলিয়াস মিয়া।
তিনি আরো বলেন, ঈদে যারা রাজধানী থেকে গ্রামের বাড়িতে যান, তাদের খালি বাসা প্রথমে রেকি করেন চোর চক্রের সদস্যরা। এরপর সুবিধামত সময়ে গ্রিলকেটে বা অন্য কোনো উপায়ে বাসায় চুরি করে থাকেন। তারা বাসাবাড়ির মালামালের পাশাপাশি গ্যারেজে থাকা মোটরসাইকেলও চুরি করে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপির একাধিক থানাসহ ঢাকার কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের বন্দর, মুন্সিগঞ্জের লৌহজং, শরীয়তপুরের জাজিরা, পিরোজপুরের ইন্দুরকানি থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, প্রতারণা, মাদক, ধর্ষণ এমনকি খুনেরও মামলা রয়েছে। চোরচক্রের গ্রেফতারকৃত সদস্যদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সূত্রাপুর ও ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে বরাবরই রাজধানীতে সক্রিয় হয়ে উঠে অপরাধী চক্র। থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অপরাধের গ্রেফতার করার পাশাপাশি এদের নিস্ক্রিয় রাখতে সক্রিয় রয়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধমুক্ত রাজধানী গড়ে তুলতে পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সক্রিয় থাকতে হবে। ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার আগে বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় নিজেস্ব উদ্যোগও থাকা প্রয়োজন বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন