বরখাস্তকৃত কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিকের গোপন জামিন বিষয়ে প্রচারিত প্রতিবেদনের সিডি জমা পড়েছে আদালতে। গতকাল রোববার বেসরকারি টিভি চ্যানেল-২৪’র প্রতিবেদন স্ক্রিপ্টসহ সিডিটি সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়। তবে এ বিষয়ে কবে শুনানি হবে তা জানা যায় নি। গত ২৮ জুন পার্থ গোপাল বণিকের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ সিডি তলব করেন। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতে জামিনের পর বেসরকারি টিভি চ্যানেল ২৪-এ প্রচারিত প্রতিবেদনের স্ক্রিপ্টসহ সিডি হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি ১ বছর ও ৬ মাসের মধ্যে পার্থ গোপাল বণিকের মামলা নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের দুটি আদেশের বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বিশেষ জজ আদালতকে নির্দেশ দেন। রাজধানীর নর্থ রোডের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত।
গত ১৭ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের ভার্চুয়াল আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ আদেশের প্রেক্ষিতে তিনি কারামুক্ত হন। পরে এ বিষয়ে সংবাদ প্রচার করে চ্যানেল ২৪। ওই জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্ট আবেদন জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটির আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, পার্থ গোপালের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৮০ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনকালে ৮০ লাখ টাকা বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপার্জন করে অর্থপাচারের উদ্দেশ্যে নিজ বাসায় লুকিয়ে রেখেছেন মর্মে প্রমাণিত হয়। এ মামলায় চার্জশিট হয়েছে।
চার্জশিটে বলা হয়, ২০১৪ সালে পার্থ গোপাল বণিক ৩১ হাজার ২৫০ টাকা বেতন স্কেলে কারা উপ-মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তার এই বেতন স্কেলের সঙ্গে এত টাকা অর্থ উপার্জন অসামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তা উত্তোলন করেননি। তিনি কখনও এই অর্থ আয়কর বিবরণীতেও প্রদর্শন করেননি। যা দÐবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন,১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন,২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন