স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন আজ বুধবার। ১৯৪৭ সালের এই দিনে (২৮ সেপ্টেম্বর, ১০ই আশ্বিন) গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী তীরের প্রত্যন্ত পাড়াগাঁ টুঙ্গিপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা। তার জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের কা-ারীসহ জাতীয় জীবনের বহুক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে যোগদান শেষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর আমেরিকার দু’টি দেশ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে সরকারী সফরে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে তিনি নারীর ক্ষমতায়নে তার অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। এ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন হিসাবে জাতিসংঘ উইমেন স্বীকৃতি অর্জন করেন।
গত বছর জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনেও তিনি দু’টি পুরস্কারে ভূষিত হন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সক্রিয় ও দৃশ্যমান ভূমিকা এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে যুগান্তকারী উদ্যোগের জন্য ‘আইসিটি টেকসই’ উন্নয়ন পুরস্কার লাভ করেন শেখ হাসিনা। এসব পুরস্কার নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ২৮টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন।
এর আগে রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং সাফল্যের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে তিনি ‘সাউথ সাউথ’ ও ‘সেরেস’ পদকসহ অন্যান্য পুরস্কারে ভূষিত হন। বাংলাদেশে নারী ও শিশুর উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য ইউনেস্কো থেকে ‘ট্রি অব পিস’ অভিধায়ও সিক্ত হন।
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার প্রথম সন্তান শেখ হাসিনার ডাক নাম হাসু। দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে দাদা-দাদির কোলে-পিঠে মধুমতি নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায়। তারা পাঁচ ভাই-বোন। অপর চারজন হচ্ছেন শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেল।
ভাই-বোনদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ সবাই ঘাতকদের হাতে নিহত হন।
পিতাকে খুব একটা কাছে না পেলেও শৈশব-কৈশোর আনন্দেই কেটেছে শেখ হাসিনার। গ্রাম-বাংলার ধূলোমাটি আর সাধারণ মানুষের সাথেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। গ্রামের সাথে তাই তার নাড়ির টান।
শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। তখন পুরনো ঢাকার রজনী বোস লেনে ভাড়া বাসায় ওঠেন তারা।
যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভার সদস্য হলে সপরিবারে ৩ নম্বর মিন্টু রোডের বাসায় বসবাস শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। শেখ হাসিনাকে ঢাকা শহরে টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দিরে ভর্তি করা হয়। এখন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শেরেবাংলা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ নামে খ্যাত। শুরু হয় তার শহরবাসের পালা তথা নগর জীবন।
শেখ হাসিনা ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
শেখ হাসিনা ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন এবং ৬-দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ৬-দফা দাবিতে পূর্ববাংলায় এক অভূতপূর্ব জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি হয়। শাসকগোষ্ঠী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। শুরু হয় প্রচ- দমন-নির্যাতন। আটক থাকা অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। তার জীবন ও পরিবারের ওপর নেমে আসে গভীর বিপদাশংকা ও দুঃসহ কষ্ট।
এই ঝড়ো দিনগুলোতেই বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী রংপুর অঞ্চলের সন্তান ড. ওয়াজেদ মিয়ার সাথে বিয়ে হয় শেখ হাসিনার। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়ার পর গোটা পরিবারকে ঢাকায় গৃহবন্দী করে রাখা হয়। অবরুদ্ধ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দী অবস্থায় তার প্রথম সন্তান ‘জয়’ এর মা হন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর কন্যা সন্তান পুতুলের জন্ম হয়।
১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হবার আগে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ শেখ হাসিনা ইউরোপ (জার্মানী) যান। সেখানে অবস্থানকালে তিনি সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নিহত হবার খবর পান। তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরার কোনো পরিবেশ না থাকায় তিনি ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।
শেখ হাসিনার পরবর্তী ইতিহাস একবিংশ শতকের অভিযাত্রায় তিনি কিভাবে বাঙালি জাতির কা-ারী হয়েছেন তার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়ে বাঙালি জাতির আলোর দিশারী হওয়ার ইতিহাস। ১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে শেখ হাসিনা দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। আর ওই বছরেরই ১৭ মে ৬ বছর প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি তিনটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের পরে তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে এবং সে বছরের ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের নেতা নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। তিনি বেঁচে গেলেও ওই হামলায় ২৪ জন নিহত এবং পাঁচশ’ নেতাকর্মী আহত হন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশী আসন নিয়ে বিশাল বিজয় অর্জন করে। এই বিজয়ের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মত দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য নুহ উল আলম লেনিন বলেন, শেখ হাসিনা শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন নতুন ভূমিকায়। সাম্প্রদায়িকতা উদার প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক বিজ্ঞানমনস্ক জীবনদৃষ্টি তাকে করে তুলেছে এক আধুনিক, অগ্রসর রাষ্ট্রনায়কে। একবিংশ শতাব্দীর অভিযাত্রায় দিন বদল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কা-ারী তিনি। এই অভিযাত্রায় তিনি বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এবং ভরসাস্থল।
শত ব্যস্ততার মাঝেও শেখ হাসিনা সাহিত্য চর্চা ও সৃজনশীল লেখায় নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। ওরা টোকাই কেন, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম তার লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এবং প্যাগোডা, গির্জাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, দলীয় সভানেত্রীর জন্মদিনটি উদযাপন উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভার আয়োজন করে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। আজ সকাল ১০টায় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভা ও মিষ্টি বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী যুবলীগ। ছাত্রলীগ সারাদেশে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ভাবে সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পর্যন্ত আনন্দ মিছিল বের করবে। এছাড়াও অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীকে বিশিষ্টজনদের শুভেচ্ছা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠ কন্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, তিনি যত না প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, তার চেয়েও বেশি জাতির কাছে একজন মা হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছেন। জন্মদিন উপলক্ষে বিশিষ্ট নাগরিকরা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে তার দীর্ঘায়ু কামনা করে তাকে জনবন্ধু আখ্যা দেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার যোগ্য ও দৃঢ় নেতৃত্বে দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ও উন্নয়নমুখী নেতৃত্বের প্রশংসা করে তার শুভ জন্মদিন কামনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও সেই অঙ্গীকার ও দৃঢ়তা নিয়েই দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, উন্নয়নের বিভিন্ন শাখায় অসাধারণ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। যা বিশ্বে দেশের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল করেছে।
কথা-সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন দেশের বিপুল কর্মযজ্ঞে প্রধানমন্ত্রীর নিষ্ঠা ও শ্রমের জন্য জন্মদিনে তাকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন অনেক। তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে একজন গর্ভবতী মা তার গর্ভাবস্থার প্রথম দিন থেকে সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। পৃথিবীর কোন দেশে এরকম অবকাঠামো নাই। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় অবস্থানকে আমি শ্রদ্ধা করি। কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন মায়ের মতো, একজন বোনের মতো। তিনি এমন মমতাপূর্ণ আচরণ করেন, মনে হয় না যে তিনি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালীর শ্রেষ্ঠ কন্যা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ সভায় যোগ দেয়ার পর বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন