শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সাড়ে তিন লাখ কোরবানির পশু বিক্রি অনলাইনে

ডিজিটাল হাটের ১৮ দিন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনা সংক্রমণের মধ্যে এবার কোরবানির হাটের চেয়ে অনলাইন হাটে কেনাকাটাকেই বেশি উৎসাহ দিয়ে আসছে সরকার। এজন্য সারাদেশের বিভিন্ন অনলাইন হাটকে আনা হয়েছে একটি প্ল্যাটফর্মে। এর সুফলও পেয়েছে সাধারণ মানুষ। গতবছর কোরবানির আগে যেখানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে মাত্র ৭০ হাজার গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছিল। এবার সেটি ১৭ দিনেই ছাড়িয়ে গেছে ৫ গুণ। গত রোববার পর্যন্ত অনলাইন হাটে কেনাবেচা হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোরবানির পশু। যার আর্থিক মূল্য দুই হাজার ৪২৪ কোটি ৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৪ টাকা। এর মধ্যে রোববার একদিনেই বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার পশু। যা আর্থিক মূল্যে ২১৭ কোটি ৪৬ লাখ ৯২ হাজার ৬৮৬ টাকা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ি, গত ২ জুলাই শুরু হয়েছে অনলাইন হাট। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশন ঢাকায় ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করছে। আর গত ১২ জুলাই সবগুলো হাটকে একসাথে করে ফরমরঃধষযধধঃ.হবঃ নামে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ১ হাজার ৮৪৩ টি অনলাইন শপের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের ২৪১টি হাট একটি প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছে।

তবে এর বাইরেও অনেকে ব্যক্তি পর্যায়ে অনলাইনে পশু বিক্রি করছেন। অনেক কৃষক ব্যক্তি উদ্যোগে, আবার কেউ কেউ কয়েকজন মিলে একেকটি হাটের আয়োজন করেছেন। খামারিদেরও রয়েছে পৃথক পৃথক অনলাইন পশুর হাট।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে থাকা এক হাজার ৭৬৮টি হাটে এবার সর্বমোট ১৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫২১টি পশু বিক্রির জন্য তথ্য ও ছবি আপলোড করা হয়। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৫৮০টি গরু/মহিষ ও ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৪১টি ছাগল/ভেড়া। রোববার পর্যন্ত এসব পশুর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৮টি। যার মধ্যে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৬টি গরু/মহিষ ও ৮১ হাজার ৮৬২টি ছাগল/ভেড়া।

বিক্রির দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এই বিভাগে অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে এক লাখ ২৮ হাজার ৫৫৪টি গরু/মহিষ ও ২৫ হাজার ৪৫৮টি ছাগল/ভেড়া। দ্বিতীয় স্থানে রংপুর বিভাগ। এই বিভাগে ৩৬ হাজার ৩৯৬টি গরু/মহিষ ও ২১ হাজার ৫১টি ছাগল/ভেড়া বিক্রি হয়েছে। ঢাকা বিভাগে গরু/মহিষ বিক্রি হয়েছে ৪৮ হাজার ৭৭৩টি ও ছাগল/ভেড়া ৪ হাজার ৩৪১টি। চতুর্থ স্থানে রাজশাহী বিভাগ। এই বিভাগে অনলাইনে ৩২ হাজার ২১৫ গরু/মহিষ ও ১৯ হাজার ৯২০টি ছাগল/ভেড়া বিক্রি হয়েছে। অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রিতে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ময়মনসিংহ বিভাগ। এই বিভাগে মাত্র ২ হাজার ১১৯টি গরু/মহিষ ও ১৪৫টি ছাগল/ভেড়া অনলাইন হাটে বিক্রি হয়েছে।

জানা যায়, চলতি বছর কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখ। তার মধ্যে গরু-মহিষ ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার, ছাগল-ভেড়া ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার এবং অন্যান্য ৪ হাজার ৭৬৫টি। কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মধ্যে গৃহপালিত গবাদিপশুর সংখ্যা ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৪৫২টি। খামারে পালন ৬২ লাখ ৩৬ হাজার। এসব কোরবানিযোগ্য পশু উৎপাদনের খামারির সংখ্যা ৬ লাখ ৯৮ হাজার। কোরবানির পশু বিক্রির ক্ষেত্রে এবার ২৫ শতাংশ অনলাইনে বিক্রির টার্গেট নির্ধারণ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) ডা. দেবাশীষ দাশ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে জনসমাগম এড়াতে অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাকাটার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। মোট পশুর ২৫ শতাংশ ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস থেকে বিক্রির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন