শুরুটা করেছিলেন ছোট্ট একটি গ্যারাজে বই বিক্রির ব্যবসা দিয়ে। সেই জেফ বেজোস আজ বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম ধনকুবের। অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোস প্রায় এক দশকের বেশি আগে ব্লু অরিজিন সংস্থা চালু করেছিলেন। এবার সেই সংস্থার তৈরি মহাকাশ যান নিয়ে সাধারণ মানুষ হিসাবে আজ (মঙ্গলবার ২০ জুলাই) মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছেন জেফ।
তার এই মহাকাশ অভিযানে তার সফর সঙ্গী থাকবেন ছোট ভাই মার্ক বেজোস। এ ছাড়া তাদের সহযাত্রী হিসেবে মহাশূন্যে ভাসার অভিজ্ঞতা নিবেন ১৮ বছর বয়সী অলিভার ডায়মেন ও ৮২ বছরের বৃদ্ধা উইলি ফ্র্যাঙ্ক। এই দুজন মহাকাশ ভ্রমণের মাধ্যমে সবচেয়ে কনিষ্ঠ ও প্রবীণ হিসেবে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। মাত্র ১১ মিনিটের এই মহাকাশ যাত্রাকে অনন্য মাইলফলক হিসেবে দেখছেন বেজোস।
অ্যামাজনের সাবেক নির্বাহী জেফ বেজোস বলেন, আমার বয়স যখন ৫ বছর তখন থেকেই আমি মহাকাশ ভ্রমণের স্বপ্ন দেখতাম। মঙ্গলবার আমি আমার ভাইয়ের সাথে সেই যাত্রা করব।
কয়েক দিন আগে সবাইকে অবাক করে দিয়ে হঠাৎই প্রথমবারের মতো মহাকাশ সফর করেন ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন। তাকে বহনকারী ক্যাপসুলটি পৃথিবীর ৮০ কিলোমিটার উপর দিয়ে উড়লেও জেফ বেজোসের বহনকারী মহাকাশযান নিউ শেফার্ড উড়বে ১০০ কিলোমিটার ওপর দিয়ে।
বিশ্বের শীর্ষ বিলিয়নিয়ারদের এমন কাণ্ডকে নতুন প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখছেন মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা। যদিও অনেকের ধারণা পর্যটন হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণ মানুষের জন্য নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে।
নাসার সিনিয়র মহাকাশ বিশেষজ্ঞ মার্কো কেসরেস বলেন, সফল উদ্যোক্তা হিসেবে এরা কেউ কারও থেকে কম নয়। এভাবে মহাকাশ ভ্রমণ মূলত প্রচার এবং ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতা ছাড়া কিছুই না। এদের সাথে এলন মাস্কও কিন্তু পিছিয়ে নেই। যেখানে হাত দিচ্ছেন সফল হচ্ছেন। উৎক্ষেপণ করে যাচ্ছেন একের পর এক স্যাটেলাইট।
বর্তমানে নিরাপত্তা প্রশিক্ষণের জন্য দক্ষিণ টেক্সাসে অবস্থান করছেন এই মহাকাশ যাত্রীরা। আজ মঙ্গলবার উড্ডয়নের ৪৭ মাইল ওপরে গিয়ে বুস্টার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে রকেটের যাত্রীবাহী অংশটি। সে সময় ৩ মিনিট শূন্যে ভাসার অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন তারা। এর পর প্যারাস্যুটে করে ফিরবেন পৃথিবীর বুকে। সূত্র : এনবিসি নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন