প্রকাশ্যে ঈদের জামায়াত করতে দেয়নি ভারত সরকার। অন্যদিকে পাকিস্তানে উৎসবের আমেজে উদযাপিত হয়েছে ঈদুর আযহা।
জানা যায়, বাংলাদেশের পাশাপাশি প্রতিবেশী ভারত আর পাকিস্তানে আজ পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। আত্মত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানি দিচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশের বিপুলসংখ্যক মুসল্লি।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে অনেকটা নিভৃতেই এ বছর ঈদ উদযাপন করছেন ভারতের মুসলিমরা। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে দেশটির অন্যতম বৃহৎ দুই মসজিদ রাজধানী দিল্লির জামে মসজিদ ও লখনৌর রুমি দারওয়াজায় মোতায়েন ছিল বিপুলসংখ্যক পুলিশ। অন্যদিকে অধিকাংশ স্থানে জামায়াতের অনুমতি দেয়া হয়।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দিল্লির জামে মসজিদে বুধবার সকালে মাত্র ২০ জনের ছোট একটি দল ঈদের নামাজ পড়েছে। অথচ মহামারিপূর্ব স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রতিবছর সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হতো এই মসজিদে।
মসজিদের শাহি ইমাম আব্দুল গফুর শাহ বুখারি জানান, মহামারির তৃতীয় ধাক্কা নিয়ন্ত্রণে ও করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
থমথমে ছিল আহমেদাবাদ জামে মসজিদ, থিরুভানানথাপুরমের পালায়াম জামে মসজিদ, পাঞ্জাবের অমৃতসরে খায়রুদ্দিন মসজিদ, মুম্বাইয়ের মহিম দরগায়।
মুসলিমদের এ ধর্মীয় উৎসবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী আর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
পাকিস্তানেও মহামারির মধ্যেও উৎসবের আমেছে ঈদ উৎযাপিক হয়েছে।
জিও টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে ভিড়ভাট্টা ও জনসমাগত নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদ জামাতে অংশ নেন তুলনামূলক কম মানুষ। তবে একে উৎসবের কমতি ছিল না।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ উদযাপন নিশ্চিতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সারা দেশে।
ঈদ উপলক্ষে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের প্রতি শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। দিনটি থেকে আত্মত্যাগের শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানান তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন