প্রথা ভেঙে ক্রমশই এগিয়ে যাচ্ছে সউদী আরব। হজের সময় মক্কার নিরাপত্তার দায়িত্ব বেশ কয়েকজন মহিলা সেনার হাতে তুলে দিয়ে আরও একটি নজর তৈরি করল তারা। সউদীর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রক্ষণশীল এই দেশটিকে এদিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আধুনিকীকরণ আর বৈচিত্র্যমূলক অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারই অঙ্গ প্রথা ভেঙে কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের জায়গা করে দেয়া।
সউদী যুবরাজের দেখান পথেই মোনা মক্কায় নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব পেয়ে তার বাবার দেখান পথে চলতে পেরেছেন বলেও জানিয়েছেন। ছোট থেকেই বাবার প্রভাব ছিল তার ওপর। আর সেই কারণেই তিনি সউদী নারী সৈন্যদলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হজ তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা প্রদান করাই তার অন্যতম কর্তব্য। মোনা জানিয়েছেন, এই কাজ করতে পেরে তিনি খুশি।
সউদী আরবে এপ্রিল থেকেই কয়েক ডজন নারী সৈন্য সুরক্ষা পরিষেবার অংশ হয়ে উঠেছে। মহিলারা দায়িত্ব পেয়েছে মক্কা আর মদিনায় তদারকি করা আর নিরাপত্তা দেয়ার। খাঁকি পোষাকই পরেছেন তারা। তবে পুরুষের মত নয়। কোমর পর্যন্ত লম্বা জ্যাকেট। ঢিলে ঢালা খাঁকি প্যান্ট পরতে হয়েছে। মুসলিম প্রথা মেনেই মাথা আর চুল ঢাকতে হয়েছে কালো ওড়না দিয়ে। এই পোষাকেই আত্মবিশ্বাসী মোনা গ্যান্ড মসজিদের নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করে যান।
মহিলাদের জন্য কিছুটা হলেও মুক্ত বাতাস নিয়ে এসেছেন মাত্র ৩৫ বছরের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সলমান। তার নির্দেশেই রক্ষণশীল দেশে কিছুটা হলেও খোলা হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে পারছেন মহিলারা। কারণ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সামাজিক আর আর্থিক সংস্কারে জোর দিয়েছেন তিনি। ভিশন ২০৩০ নামে পরিকল্পনার অধীনে একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সূত্র: ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন