শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিশ্বব্যাপী আইএসের হামলা আরও জোরদার হবে -মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান

সংঘবদ্ধ হচ্ছে মালি সোমালিয়া তিউনিসিয়া ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশে

প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিরক্ষা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভিনসেন্ট স্টুয়ার্ট বিশ্বব্যাপী আইএসের হামলা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। সামনের দিনগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘাতের সুযোগ নিয়ে আইএস তাদের হামলা আরো জোরদার করতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন। গত সোমবার এক নিরাপত্তা সম্মেলনে স্টুয়ার্ট তার এই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেন। ওই সম্মেলনে তিনি বলেন, মালি, সোমালিয়া, তিউনিসিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশে আইএস সংঘবদ্ধ হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, সিরিয়া ও ইরাকে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা আইএস সিনাই থেকে মিশরের আরও অভ্যন্তরে হামলা চালালেও তিনি আশ্চর্য হবেন না। গত বছর তারা ইরাক ও সিরিয়ায় প্রবেশ করে বিভিন্ন রণক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে লিবিয়া, সিনাই, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, সউদি আরব, ইয়েমেন ও ককেসাস অঞ্চলসহ বিশ্বব্যাপী তাদের হামলা ছড়িয়েছে।
স্টুয়ার্ট বলেন, তারা ইসলামের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বের যুদ্ধে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সহিংসতার গতি ও ভয়াবহতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ওই সম্মেলনে স্টুয়ার্ট ও আরও কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মিলে ‘বিশ্ব আইএসের হুমকির মুখে’- এমন একটি বিষয় কংগ্রেসে তুলে ধরার জন্য প্রস্তুত করেছেন।
প্রতিরক্ষা প্রধান আরও বলেন, সুন্নি মতাবলম্বী সংগঠন আইএস শুধু পশ্চিমা বিশ্বের ওপরই তাদের হামলা প্রসারিত করবে না, তারা সংখ্যালঘু শিয়াপন্থী মুসলমানদেরও তাদের হামলার লক্ষ্যে পরিণত করেছে। তাই সাধারণ সুন্নিদের মতো লেবাননভিত্তিক একমাত্র শিয়া চরমপন্থী গ্রুপ হেজবুল্লাও শঙ্কিত। আইএসের এই হুমকি মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত এক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্য যার অনেকটাই টের পেয়েছে।
সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের ২৫ হাজারেরও বেশি যোদ্ধা আছে। এ সংখ্যাটি গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজকে দেয়া মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের চেয়ে কম। গত সপ্তাহে তারা ৩১ হাজার সদস্যের হিসাব দিয়েছিলো। রণক্ষেত্রে ২০ শতাংশ আইএস যোদ্ধা নিহত হয়েছে মর্মে মার্কিন গোয়েন্দারা মার্কিন নেতৃত্বাধীন আইএস বিরোধী লড়াইয়ে সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে গত সপ্তাহে ওই রিপোর্ট দিয়েছিলো। সূত্র ঃ রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন