‘দ্য অলিম্পিক লরেল’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী বাংলাদেশী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁকে এই অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়।
খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও শান্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি দিতে ২০১৬ সালে এই অ্যাওয়ার্ডের প্রবর্তন করা হয়। ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে তিনি এই সম্মাননা পেয়েছেন। এর আগে, ২০১৬ সালে ব্রাজিলে রিও অলিম্পিকে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মশাল বহন করেন ড. ইউনূস।
ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) প্রদত্ত ‘দ্য অলিম্পিক লরেল’ অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নেটিজেনদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি।
অভিনন্দন জানিয়ে মুহাম্মদ জাকারিয়া রাশেদ তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘শত নষ্টদের মাঝে বাংলাদেশের একমাত্র গর্ব ড. মুহাম্মদ ইউনুস! অভিনন্দন স্যার!’
রুহুল আমিন মোক্তার লিখেন, ‘অভিনন্দন ড. মোহাম্মদ ইউনুস! আন্তর্জাতিক নোবেল পুরস্কারজয়ী বাংলাদেশের একমাত্র ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ‘অলিম্পিক লরেল’ সম্মানে ভূষিত করেছেন। ২০১৬ সালে প্রথম চালু হওয়া এ সম্মাননা পদক পাওয়া দ্বিতীয় সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হলেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস। আমাদের দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস আপনার প্রতিটি অর্জনে, গৌরবে ও সাফল্যে আমরা গর্বিত আমরা অলংকৃত.... ড. ইউনুস আমাদের অহংকার, ড. ইউনুস মানেই লাল-সবুজের গর্ব, ড. ইউনুস মানেই বাংলাদেশের এগিয়ে চলা... আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো.....’
শফিউল আলম শফি লিখেন, ‘ড. ইউনুসের মতো ভালো মানুষের এই দেশের মানুষ মূল্যয়ন করতে না জানলেও বিদেশের মানুষ জানে।’
পারভেজ আহমেদ লিখেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সবচেয়ে বড় ইতিবাচক সংবাদ ছিলো ড. ইউনুসের নোবেল বিজয়। এবারও নতুন মাইলফলক। স্যালুট কিংবদন্তী!’
এদিকে ড. ইউনুসের অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় প্রসংশিত হওয়ার পাশাপাশি দেশের এই ক্রান্তিকালে তার ভুমিকাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেন। সমালোচকদের এসব প্রশ্ন নিয়ে মুস্তফা আলী লিখেন, ‘নোবেল, অলিম্পিক যে অ্যাওয়ার্ড, যে ব্যক্তি হোক, বাংলাদেশের জন্য শুভ সংবাদ। এটা মেনে নেয়ার মত মানসিকতা আমাদের এখনও ডেভেলপ করে নি। নেগেটিভ চিন্তা - এটা কীভাবে পেলেন, কেন পেলেন, তার সাথে এটার কী সম্পর্ক ইত্যাদি না করে পজিটিভ দিক থেকে চিন্তা করাই উত্তম বলে আমি মনে করি। অর্জনের জন্য আমরা শুভেচ্ছা জানাতেই পারি। আবার দেশের ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে না থাকার জন্য সমালোচনা করতেই পারি। আমি যা পাই নি, অন্য একজন পেলে সমস্যা কি! আবার দেশের যদি কেউ ক্ষতি করে, তাহলে তাকে সেভাবেই সমালোচনা করা উচিত। আপনাকে ধন্যবাদ।’
দেশে ক্রীড়ার জন্য কিছু করার আহ্বান জানিয়ে জসিম উদ্দিন লিখেন, ‘অভিনন্দন স্যার। দেশে প্রান্তিক লেভেলে ক্রীড়ার জন্য কিছু করুন। দেখতে চাই, শুধু শুনতে চাই না যে বিদেশে এখানে ওখানে ক্রীড়ার জন্য করেছেন।’
দেশের মানুষের জন্য করোনার টীকা আনতে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়ে রিয়াদ মাহমুদ লিখেন, ‘স্যার আপনার অর্জনে আমরা অনেক গর্বিত। এখন দেশের মানুষের জন্য অনেক করোনার টীকা দরকার। প্লিজ স্যার, আপনার আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে দেশের মানুষের জন্য কিছু করেন। আপনি চেষ্টা করলে দেশের মানুষের জন্য টীকা পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে। প্লিজ স্যার………………’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন