রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘গুলশানের কায়দায় ভারতে হামলার ছক কষছিল গ্রেফতার জঙ্গিরা’

প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা ঢাকার গুলশানের মতো একই কায়দায় ভারতে হামলার ছক কষছিল বলে তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। রাজ্য পুলিশের বরাত দিয়ে কলকাতা টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে বিচারক হত্যা মামলার আসামি জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম আরিফের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হলে ভারতে ওই হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম থেকে গ্রেফতার ছয় জেএমবি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এই হামলা পরিকল্পনার তথ্য জেনেছে বলে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ওই হত্যা মামলায় জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাইসহ ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও পলাতক থাকায় সে সময় বেঁচে যান আসাদুল ইসলাম আরিফ।
২০০৭ সালে আরিফ ময়মনসিংহে গ্রেফতার হলে তার বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত আগস্টে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদ-ের রায় পুর্নর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিলে আরিফের জন্যও ফাঁসিকাষ্ঠ অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “জেএমবির শীর্ষ কমান্ডার আরিফের মৃত্যুদ-ের আদেশ হয়েছে। তার সাজা কার্যকরের সপ্তাহখানেকের মধ্যে হলি আর্টিজান বেকারির মতো হামলার পরিকল্পনা করছিল নিষিদ্ধ সংগঠনটি।”
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হন।
টেলিগ্রাফ লিখেছে, সন্দেহভাজন ছয় জঙ্গির মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে গ্রেফতার আনোয়ার হোসেন ফারুক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বলেছেন, তার বাংলাদেশী সহযোগীদের সঙ্গে ভারতে সালাউদ্দিন নামের সংগঠনের এক শীর্ষ নেতার যোগাযোগ রয়েছে। হামলায় ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সালাউদ্দিনকে।
এক পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, আরিফের মৃত্যুদ-ের প্রতিশোধ হিসেবে জেএমবি এই হামলার মধ্যে দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। জেএমবির এই হামলার পরিকল্পনা তথ্য বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কর্মকর্তা টেলিগ্রাফকে জানিয়েছেন। ২০০৫ সালে নিষিদ্ধ করার পরপরই বাংলাদেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জেএমবি। সূত্র : বিডি নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন