ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেও প্রতিষ্ঠানটির অনিয়ম অনুসন্ধানে তা বাধা হবে না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। গত নভেম্বর থেকে ইভ্যালিডটকম লিমিটেডেড’র চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। নতুন বিনিয়োগের কারণে তাদের বিরুদ্ধে যে অনিয়মের অনুসন্ধান চলছে তাতে কোনো প্রভাব পড়বে না বা ব্যাঘাত ঘটবে না। তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও অর্থ আত্মসাত অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে বলে জানান দুদক আইনজীবী।
এর আগে মঙ্গলবার ইভ্যালিতে ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে যমুনা শিল্প গ্রুপ। প্রাথমিকভাবে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তারা। ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে গ্রুপটি।
এদিকে কথিত ই.কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালতঃ। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জেজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত ১৭ জুলাই এ নিষেধাজ্ঞা দেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে চলতি মাসের শুরু থেকে ইভ্যালির অনিয়ম অনুসন্ধানে দুই সদস্যের একটি টিম কাজ করছে। গ্রাহক ও মার্চেন্টের ৩৩৯ কোটি টাকার হদিস না থাকার বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে সংস্থাটি। ইভ্যালির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (মার্চেন্ট) কেউ কেউ গ্রাহকেদের পণ্য দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ইভ্যালির দেয়া ভাউচার দিলেও প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের বলছে,ইভ্যালির কাছ থেকে পণ্য বুঝে নিতে। কারণ ভাউচারের বিপরীতে ইভ্যালি তাদের পাওনা পরিশোধ করেনি। এছাড়া ইভ্যালিসহ বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করেছে কয়েকটি ব্যাংক।
দুদক সূত্র জানায়, ইভ্যালি তার গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে অগ্রিম হিসাবে নেয়া অন্তত ৩শ’৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। সহকারি পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন টিম শিঘ্রই ইভ্যালির দুই কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন