সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছর ১-৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়ে আসছে। ২০১০ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ) ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সহযোগীতায় বাংলাদেশে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ সফলভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। মাতৃ ও শিশু পুষ্টি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১৪ সালে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদ্বোধন করেন ও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
World Breastfeeding Trends Initiative (WBTi) 2020 mv‡ji Infant & Young Child Feeding (IYCF) বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যক্রমের Tracking, Assessing & Monitoring মূল্যায়ন পূর্বক (Assessment) অনুযায়ী বিশ্বব্যপী ৯৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১ম স্থান অর্জন করেছে এবং মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য আইন টি ১ম শ্রেণির আইন হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী World Alliance for Breastfeeding Action (WABA) কর্তৃক এই বছর বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘Protect Breastfeeding, A shared Responsibility’.
শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর কোন বিকল্প নেই। শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ালে মা ও শিশু দুজনেরই উপকার হয়। জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ দিলে মায়ের গর্ভফুল তাড়াতাড়ি পড়ে, সহজে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়, ফলে মা রক্তস্বল্পতা থেকে রক্ষা পায়। জন্মবিরতিতে সাহায্য করে, স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সার এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। শিশুর সর্বোচ্চ শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়া হওয়ার প্রবণতা এবং এর তীব্রতার ঝুঁকি কমায়, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং কানের প্রদাহ কমায়, দাঁত ও মাড়ি গঠনে সহায়তা করাসহ অনেক উপকারিতা আছে। আইবিএফএএন-এর তথ্য (২০১৩) অনুযায়ী শিশুকে মায়ের দুধ না খাওয়ালে- নিউমোনিয়াজনিত মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১৫ গুণ বৃদ্ধি পায়, ডায়রিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১১ গুণ বৃদ্ধি পায়, শিশুদের অপুষ্টি ও অন্যান্য, কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১৪ গুণ বৃদ্ধি পায়, জন্ডিস, কানপাকা ও পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণসহ ডায়রিয়া হওয়ার আশংকা বৃদ্ধি পায়। শারীরিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধির বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়। বয়সের তুলনায় ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়; দীর্ঘস্থায়ী রোগের (ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্থুলতা) ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২১ উপলক্ষ্যে জাতীয় পুষ্টি সেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন সারাদেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে যা মাসব্যাপী পালিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন